কলকাতা: রাজনীতি মুখোমুখি দাঁড়ি করিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাতে বাজিমাত করলেন ছেলে। বকেয়াপুরসভা নির্বাচনে (WB Municipal Election Result) মাকে হারিয়ে নির্দল প্রার্থী (Independent Candidate) হিসেবে জয়ী হলেন তিনি। ৬১১ ভোটে মাকে হারালেন।
কোচবিহার পুরসভার ঘটনা (Cooch Behar Municipal Elections Result)। সেখানকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই ওয়ার্ডে বিদায়ী পুর প্রশাসক মীনা তরকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। জোড়াফুলেরই সক্রিয় সদস্য ছিলেন তাঁর ছেলে উজ্জ্বল তর।
কিন্তু পুরভোটে শুধু মীনাকেই টিকিট দেয় তৃণমূল। খালিহাতে ফিরতে হয় উজ্জ্বলকে। তাতেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বুধবার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল, মাকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে, তৃণমূলের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, দল বড় হয়েছে আগের থেকে। তৃণমূলই যে জিতবে, তা সকলেই জানেন। তাতেই মানুষের উচ্চাকাঙ্খা বেড়ে গিয়েছে। তৃণমূল দল হিসেবে নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে জনপ্রিয়তায় পৌঁছেছে, তাতে মুখোমুখই লড়াইয়ে নামতে পিছপা হচ্ছেন না মা-ছেলেও।
আরও পড়ুন: Saugata Roy: 'এত হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে লোকের বিশ্বাস চলে যায়', বিস্ফোরক মন্তব্য সৌগতর ।Bangla News
বকেয়া পুরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালীন ব্যাপক হিংসা এবং অশান্তির খবর মেলে। বিরোধীদের এজেন্ট বার করে দিয়ে, তাঁদের মারধর করে ভোট লুঠ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় শাসকদলকে। প্রশ্ন ওঠে, বিধানসভা নির্বাচন তথা কলকাতা, আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর, চন্দননগরে যেখানে তাদের সামেন টিকতেই পারেনি বিরোধী শিবির, সেখানে ভোটে অশান্তি বাঁধানোর কি কোনও প্রয়োজন ছিল তৃণমূলের।
নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাতে শেষ মেশ নতুন করে দুই ওয়ার্ডে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। যদিও বিরোধীদের দাবি ছিল, সিংহভাগ ওয়ার্ডেই পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।