রঞ্জিত হালদার, সত্যজিত বৈদ্য, সোনারপুর : সকাল থেকে উত্তপ্ত সোনারপুর - রাজপুর পুরসভা এলাকা। ভোট শুরুর আগেই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজপুর বিদ্যানিধি স্কুলে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব করার অভিযোগ উঠল।
অভিযোগ, ইভিএম ভাঙচুর করা হয়। কংগ্রেস প্রার্থী সৌমেন্দু ঘোষের জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আতঙ্কে সকালে ভোট দিতে যাননি কোনও ভোটার। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিরোধীদের অভিযোগ, আগের দিন রাত থেকেই হুমকি দিতে শুরু করে তৃণমূল। সকালে বাম, কংগ্রেস, নির্দল এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুথের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় বিরোধী এজেন্টদের। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৩ জায়গায় ভাঙা হয় ইভিএম। বৈকুণ্ঠপুর সারদা বিদ্যাপীঠ ও রাজপুর হরকালী বিদ্যাপীঠে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এজেন্টদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
অন্যদিকে আবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও কংগ্রেস প্রার্থীর মধ্যে বচসা, হাতাহাতি। দু’ পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে বহিগতদের এনে ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ তোলে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডায়মন্ডহারবার, মহেশতলা, বজবজ, রাজপুর-সোনারপুর , বারুইপুর ও জয়নগর পুরসভায় রবিবার ভোট হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দখলে এসেছে বজবজ।
রবিবার রাজ্যের ২০টি জেলার ১০৮টি পুরসভায় ভোট। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যদিও অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে আগে থাকেই। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ। মোট ওয়ার্ড ২ হাজার ২৭১টি। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও আছেন পুলিশ আধিকারিক। সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
পুরভোটে ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার আছেন ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে। মোতায়েন ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী। এর সঙ্গে আছেন ১০ জন আইএএস, যাঁদের সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার করা হয়েছে। অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার, সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। পুরভোটের ফল ঘোষণা ২ মার্চ।