রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: জিয়াগঞ্জে সস্ত্রীক ভোট দিলেন অরিজিৎ সিংহ (arijit singh)। বলিউডের প্রথম সারির এই সঙ্গীতশিল্পী কাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময়টাই বাংলার বাইরে থাকেন। কিন্তু এবার তিনি পুরভোটে (WB Municipal Elections) নিজে ভোট দিলেন। শুধু তিনিই নন। ছিলেন স্ত্রী কোয়েলও। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার (WB Municipal Poll 2022) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাদুরতলা জৈন ধর্মশালায় ২৫ নম্বর বুথে সস্ত্রীক ভোট দিতে আসেন অরিজিৎ সিং।  এদিন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে কার্যত দৌড়ে এক নিমেষে ঢুকে পরেন অরিজিৎ ও তাঁর স্ত্রী। এরপর ভোট দেওয়ার পরেই নিজের গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে চলে যান। 


দেদার ছাপ্পা, বুথ দখল, ভোটারদের বাধা, অন্য়ের হয়ে ভোট দিয়ে দেওয়া। এদিন পুরভোটের সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে এরকম একাধিক খবর আসতে থাকে। এদিন সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের (Baharampur) ভোটকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দুপুর গড়াতেই ফের অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল বহরমপুরেক ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, সকাল থেকে দফায় দফায় সমস্যা তৈরি করেছেন অধীর চৌধুরী। এমনকী প্রায় ১ ঘণ্টা ভোট বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি বাড়তি এক ঘণ্টা ভোট দেওয়ার সময় দেওয়া না হলে অধীর চৌধুরীকে তাঁরা যেতে দেবেন না। সবমিলিয়ে ভোটের দিন বিকেলে ফের উত্তপ্ত হল বহরমপুর। 


এ দিন কংগ্রেস প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্ট জানান, তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। জমায়েত হয় কংগ্রেসের কর্মীরা। ভিড় করেন তৃণমূলের কর্মীরাও।  এ দিন অধীর চৌধুরি বলেন তিনি বলেন, 'মহিলাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। মারছে, ওড়না, মোবাইল, চটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাঁচাতে এসেছি। ভোট বন্ধ করিনি, ভিতরেও যাইনি, বুথের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি মরতে রাজি আছি, মেয়েগুলোকে একা ছেড়ে যাব না।' এরপর আরও খবর আসে অধীর চৌধুরী আক্রান্ত। খবর ছড়াতেই দলে দলে ঘটনাস্থলে এসে জমা হন কংগ্রেস প্রার্থীরা।