কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: পুরভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে ফাটল বিজেপি-তে (BJP)। তার মধ্যেই আসানসোলে গেরুয়া শিবিরের উদ্বেগ বাড়ল ফের এক বার। নেপথ্যে সেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। তিনি ভোট কেনায় জড়িত বলে পোস্টার পড়েছে সেখানে। শহর জুড়ে এমন পোস্টারের পিছনে তৃণমূলেরই হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র।


সামনেই আসানসোল পুরসভার নির্বাচন (Asansol Municipal Election) তার আগে জিতেন্দ্রকে ঘিরে একের পর এক বিতর্কে ব্যাকফুটে বিজেপি। তার মধ্যেই শুক্রবার সেখানে প্রাক্তন মেয়রের নামে পোস্টার দেখা যায়। তাতে বলা হয়, এলাকায় মহিলা ভোট কিনতে টাকা ছড়িয়েছেন জিতেন্দ্র।


এ দিন আসানসোল পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডেই পোস্টারগুলি চোখে পড়ে। তাতে হিন্দিতে জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়, বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘প্রাক্তন মেয়র মাথাপিছু ২০০০ টাকার বিনিময়ে মহিলা ভোট কিনেছেন।’ শুধু তাই নয়, এমন ঘটনায় ওয়ার্ডের বদনাম হচ্ছে বলে পোস্টারে গণস্বাক্ষরও করানো হয়।


আরও পড়ুন: Purba Bardhaman News: অর্ধেক পুকুরে, অর্ধেক পাড়ে, নবাবহাটে ঝুলন্ত অ্যাম্বুল্যান্স থেকে অল্পের জন্য রক্ষা রোগীর


এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাশু বলেন, “‘বিজেপি-র টাকা ছড়ানোর অভিযোগ আমার তাঁর কানে এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে।’


পুরভোটের আগে জিতেন্দ্রকে নিয়ে লাগাতর অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বিজেপি-কে। সম্প্রতি তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আসানসোল উত্তর বিধানসভার বিজেপির দু’নম্বর মণ্ডল সভাপতি সুদীপ চৌধুরী, বিজেপি মহিলা মোর্চার দুই নেত্রী-সহ শতাধিক বিজেপি কর্মী এবং সমর্থক। যোগ্যদের বাদ দিয়ে জিতেন্দ্র নিজের ঘনিষ্ঠদের ভোটের টিকিট পাইয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোহ করেন সুদীপ।


সেই সময় সুদীপ জানান, পুরভোটে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল বিজেপি-র তরফে। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ জিতেন্দ্র এবং কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় চাইছিলেন তিনি হেরে যান। সুদীপের দাবি, ওই দুই নেতার ঘনিষ্ঠরা টিকিট পেয়েছেন। অথচ বিজেপি-র পুরনো কর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই তিনি টিকিট প্রত্যাখ্যান করেন।