সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির উদ্যোগে রবীন্দ্রসদনে শুরু হল নাট্য মেলা। চলবে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শিক্ষামন্ত্রী ও নাট্যকার ব্রাত্য বসুর সঙ্গে এক দর্শকের বাদানুবাদ হয়। 


২৩তম নাট্য মেলা


শুরু হল, ২৩তম নাট্য মেলা। রবীন্দ্রসদন-সহ কলকাতার ৭টি জায়গায় চলবে এই মেলা। অংশ নেবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ২৪২টি নাট্যদল।পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্য়াকাডেমির তরফে আয়োজিত এই মেলায় পূর্ণাঙ্গ নাটকের পাশাপাশি, শ্রুতি নাটক এবং পুতুল নাচের নাটকও থাকবে।শনিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্য়াকাডেমির সভাপতি দেবশঙ্কর হালদার, রাজ্যের মন্ত্রী ও নাট্যকার ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ, কৌশিক সেনরা।


এই সরকারের বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলি, আগামী দিনেও বলব :কৌশিক সেন 


নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলি, আগামী দিনেও বলব। যে পরিসর করে দিয়েছে, সেটা নিয়ে বলতেই হবে। আমাদের মতো বিরোধীকণ্ঠকেও টাকা হয়। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শিক্ষামন্ত্রী ও নাট্যকার ব্রাত্য বসুর সঙ্গে এক দর্শকের বাদানুবাদ হয়।শিক্ষামন্ত্রী  ব্রাত্য বসু বলেন, আমি জানি না কতদিন আপনাকে আমিষ খেতে দেওয়া হবে। আমি জানি না আপনি রাস্তায় টিকি ছাড়া বের হতে পারবেন কি না, কেউ টিকি রাখতেই পারেন, আমার কোনও আপত্তি নেই। আপনি পলিটিক্যাল কথা বলছেন কেন? এটা কোনও রাজনীতির প্ল্যাটফর্ম নয়। 


কবে অবধি চলবে নাট্য মেলা ?


শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, এটা ১০০ শতাংশ সরকারি প্ল্যাটফর্ম। আমি সরকারের পলিসি নিয়ে কথা বলছি। আপনার কী তাতে? আপনার পছন্দ না হলে আপনি এখানে পিছনে এসে বলুন, আমাকে বলুন। আমি তর্ক করব আপনার সঙ্গে। আসুন। ব্রাত্য বসু বলেন,রাম মন্দিরের প্রচার না করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের অনেক দলকে কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দেবে বলে শোনা যাচ্ছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে নাট্য মেলা। 


মুড়ির মেলা


সন্ধেবেলা মুড়ি চানাচুর। কিংবা মুড়ি আর তেলেভাজা। কিংবা নারকেল দিয়ে মুড়ি। বা স্রেফ জল ঢালা মুড়ি ! খাদ্য সম্ভারে যতই মুখরোচক বিকল্প আসুক না কেন, বাঙালির মুড়ির প্রতি চিরন্তন টান। আর বিশেষত বাঁকুড়া জেলায় মুড়ির জনপ্রিয়তা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। সেই মুড়ির  স্বাদ একসঙ্গে পেতেই সকলে প্রতিবছর জড়ো হন দ্বারকেশ্বর নদের চড়ে।  এ-সময় গোটা এলাকা ম ম করে ভেজা মুড়ির গন্ধে। এ জেলার দ্বারকেশ্বর নদের চড় জুড়ে মুড়ির মেলা।  নানান উপকরণ দিয়ে মুড়ি ভিজিয়ে সকলে মিলে খাওয়ার ধুম মুড়ি মেলাতে। প্রতি বছর মাঘ মাসের ৪ তারিখ বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া দ্বারকেশ্বর নদের সঞ্জীবনী ঘাটে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। মুড়ির চুম্বক টানে। লাল মাটির জেলার মামুষের বড্ড প্রিয় পদ।