কলকাতা: আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে রাজ্যে পঞ্চায়েত (Panchayet Poll) ভোটের সম্ভাবনা। সূত্রের খবর, পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করানোর ভাবনা কমিশনের। ২০১৮-র তুলনায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন বেড়ে ৬২ হাজার ৩৬২। ২০১৮-র তুলনায় পঞ্চায়েত সমিতির আসন বেড়ে ৯ হাজার ২১৭। ২০১৮-র তুলনায় জেলা পরিষদের আসন বেড়ে ৯২৮টি। 


আগামী বছর কখন হবে পঞ্চায়েত ভোট? দুর্গাপুজো মিটতেই কাঠি পড়ল পঞ্চায়েতের ঢাকে। বেজে গেল পঞ্চায়েতের দামামা। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলেই কি গ্রাম বাংলার সবচেয়ে বড় ভোট হতে চলেছে? এমনটাই খবর সূত্রের। গত পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল মে মাসে। তবে এবার যে পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে, আগেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, “কাজগুলো ঝটপট করুন, নইলে ইলেকশনে ললিপপ খাবেন। ইলেকশন যে কোনও দিন ঘোষণা হয়ে যাবে।’’


এবার পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য সময়, সামনে আসতেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এবার পঞ্চায়েত ভোট ক’দফায় হবে? ২০১৮ সালে, গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল এক দফাতেই। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী করবে? ক’দফায় হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া?  গতবছর বিধানসভা ভোটে বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে এসেছিল,  হিংসা হানাহানির ছবি। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। পাঁচ বছর পর, আরেকটা পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ সামনে আসতেই শাসক এবং বিরোধী শিবির নিজের মতো করে তাল ঠুকতে শুরু করেছে।


২০ জেলার আসন বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে। কমিশন সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে। বিধি অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তি জারির ২২ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। সেক্ষেত্রে জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতেও কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে আগামী বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ অবধি মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর ১৪ থেকে ২৭ মার্চ অবধি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার সময়ে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকে। যার জেরে প্রচার সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারিতে ভোট না হলে, পরীক্ষা মেটার পর, এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের  প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষই গ্রামে বসবাস করে। আর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের সিংহভাগের রাশ যে দলের হাতে যাবে, নিঃসন্দেহে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সে বাড়তি মনোবল পাবে...তাই গ্রামের মহাযুদ্ধ ঘিরে, ঝাঁপাতে প্রস্তুত হচ্ছে সব দল।


আরও পড়ুন: Bratya Basu: রাজ্য সরকার নিয়োগে আগ্রহী, একদল প্রক্রিয়া ব্যাহত করছেন: ব্রাত্য বসু