কলকাতা: ‘আমরা চাই মানুষ তৈরি হোক। ট্রেনিং দিয়ে ছাত্রদের গ্রামে গ্রামে পাঠাব।’
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে এই ঘোষণা করলেন চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন মমতা। এরপর তিনি বলেন, ‘এবার আমার একটাই লড়াই, শিল্প এবং কর্মসংস্থান। আমরা চাই মানুষ তৈরি হোক। ট্রেনিং দিয়ে ছাত্রদের গ্রামে গ্রামে পাঠাব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমাকে সমর্থন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা অতিক্রম করে আজ এই জায়গায় তৃণমূল। কংগ্রেস যতদিন লড়েছে, উত্তরপ্রদেশকে ভিত্তি করেই লড়েছে। গুজরাতকে ভিত্তি করে উঠেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের আসল জায়গা বাংলা। আপনারা দলকে মজবুত করে গড়ে তুলুন। বিজেপিকে দেশ থেকে হঠানোর জন্য তৃণমূলকে মজবুত করুন। তৃণমূল কংগ্রেস এখন জাতীয় দল। ২০১৬ সালে কমিশনের স্বীকৃতি পেয়েছি। মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল সাংগঠনিক নির্বাচন করার জন্য। ফেব্রুয়ারিতেই সাংগঠনিক নির্বাচন করে দিলাম।’
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ ত্রিপুরায় গেলে আমাদের মারধর করা হচ্ছে। ত্রিপুরায় অত্যাচার হচ্ছে, জেলে ঢোকানো হচ্ছে, গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। বাংলায় এর থেকে বেশি অত্যাচার সহ্য করেছি। তৃণমূল লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে। তৃণমূলের আরেক নাম সংগ্রাম, আন্দোলন। তৃণমূল মুখে নয়, কাজে বিশ্বাস করে। তৃণমূল বিবেকানন্দের কথায় ভরসা করে। তৃণমূল মাথানত করবে না। একবার হারলে বারবার দাঁড়াও, তুমি জিতবেই। সিপিএমকে হঠিয়েছো, বিজেপিকেও পারবে। শুধু টাকায় চলছে বিজেপি, তারা আমাদের আসল শত্রু। কংগ্রেস মেঘালয়, চণ্ডীগড়ে বিজেপির হয়ে ভোট করে দেয়। আমরা চেয়েছিলাম, বিজেপি বিরোধীরা এক জায়গায় আসুক। কিন্তু অহঙ্কার করে কেউ যদি বসে থাকে, তাহলে একলা চলো। একটা একটা করে ফুল গাঁথতে গাঁথতে গোটা মালা গেঁথে নেব। কিছু বলতে গেলেই দুর্বিষহ নাভিশ্বাস পেগাসাস। অভিষেক, পিকে, সবার ফোন ট্যাপ করেছে, প্রমাণ হয়েছে। একটা জাস্টিস দরকার, না হলে সবাইকে ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে। মানুষের কোনও অধিকার নেই, ফোনে কথা বললেই পেগাসাস। ১০০ দিনের কাজের টাকা কমিয়ে দিয়েছে। কমাতে কমাতে এমন করেছে এবার তো আর বাজেটে টাকাই নেই।’