কলকাতায় আজকের আবহাওয়া (Weather): নভেম্বর গড়াতেই শীতের শিরশিরানি টেরি পেতে শুরু করেছিল কলকাতা। দিন যত যাচ্ছিল, ফ্যানের রেগুলেটরের স্পিড কমছিল। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে পারদ কিছুটা হলেও ঊর্ধ্বমুখী হয়। এমনকি বড়দিনেও শরীরে গরম জামা রাখতে রীতিমতো অস্বস্তি হয়েছে শহরবাসীর। নতুন বছর থেকে অবশ্য টানা শীতের ঝোড়ো ইনিংস শহরে। মাঝখানে কিছুটা ছন্দপতন হলেও ফের মেজাজে ফিরেছিল শীত। কিন্তু ফের গায়েব হয়ে গিয়েছিল ঠান্ডা। যদিও উত্তুরে  খানিকটা শক্তি ফিরেছে রাজ্যে।  
   আজ, কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (minimum temperature) ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (maximum temperature) ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিক। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার (relative humidity) পরিমাণ ছিল ৭৬ শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকার কথা। 
 তাপমাত্রার হেরফেরে  জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আপাতত কোনও কোনও জেলায় শীতের আমেজ সামান্য কমবে। তবে আগামী সপ্তাহে আরও একটু নিচে নামতে পারে পারদ। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উল্লেখ্য অক্টোবরের শেষে এই শহরের পারদ নেমেছিল ২০ ডিগ্রির নীচে। এর আগে ২০১২-র অক্টোবরে ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। ওই বছর ২৮ অক্টোবর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।0 ২০১৮ সালে ২৭ অক্টোবর ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল তাপমাত্রা। গত অক্টোবর মাসে কলকাতায় পারদ পতনের সর্বকালীন রেকর্ড ১৯৫৪ সালের ৩১ অক্টোবর।সেবার তাপমাত্রা নেমে ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।









বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে অগাস্টে সেই ছবি বেশ কিছুটা বদলেছে। সেপ্টেম্বরে একের পর এক নিম্নচাপ। অক্টোবরে পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। কালীপুজোও ব্যতিক্রম হয়নি। 








ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।


আরও পড়ুন:আদানিকাণ্ডের প্রভাব পড়েনি ভারতীয় অর্থনীতিতে, দাবি নির্মলার