সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ঝড়-বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গের উপরের ৫ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। শনিবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। যা আগামী মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোকায় পরিণত হতে পারে। ১৪ মে আছড়ে পড়তে পারে, বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে। পূর্বাভাসে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 


বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। যা পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। শেষমেশ, সেই গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা-য়। সেই ঝড়ের কি কোনও প্রভাব পড়বে এই রাজ্যে?এ নিয়ে এখনই আবহাওয়া দফতর কিছু না জানালেও বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। 


বরং দক্ষিণবঙ্গ ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা বাড়বে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের ওপরের ৫ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। আগামী সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় মোকা আছড়ে পড়ার আশঙ্কার প্রহর গুনছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার। 


আমেরিকা ও ইউরোপের আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস, ১৪ মে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলা ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরও জানিয়েছে, শনিবার ৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত।                                         


রবিবার ৭ মে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার ৮ মে আরও গভীর ঘণীভূত হবে নিম্নচাপটি। মঙ্গলবার ৯ মে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।                    


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখ থাকবে উত্তর দিকে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম মোকা দিয়েছে আরব সাগরের দেশ ইয়েমেন। আপাতত দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মোকার প্রভাব পড়তে পারে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।


রবিবার ও সোমবার সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি পতে পারে। রবিবার ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। সোমবার ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ কিলোমিটার। ফলে ৮  মে থেকে ১১  মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন সমুদ্রে যেতে মৎসজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে। 


 


আরও পড়ুন, আচমকাই অদৃশ্য হচ্ছে শনির বলয়! মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে এই গ্রহ?