কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটেছে গত ১৭ জুন। গত সপ্তাহে দিন কয়েক বৃষ্টির পরই ধাক্কা খেয়েছে বর্ষার গতি। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত কম হলেও মেঘলা আকাশ ছিল। কিন্তু, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ রয়েছে অত্যধিক বেশি। এরই মধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে গোটা রাজ্যে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি জারি থাকবে।                          

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশ সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তার প্রভাবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি আর মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গেও। পূর্বাভাস বলছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত পরে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয় কি না সেদিকে থাকবে বিশেষজ্ঞদের চোখ। নতুন করে সাগরে তৈরি হওয়া আবহাওয়ার সিস্টেমের হাত ধরে বর্ষা ফের একবার চাঙা হয়ে উঠতে চলেছে।                                            

জানা যাচ্ছে, ক্রমশ সক্রিয় হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করেছে রাজ্যে। আগামী ৫ দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে চলেছে। । মঙ্গলবার থেকেই ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায়। এ ছাড়াও পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। যা চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে।

বুধে দুই মেদিনীপুর ছাড়াও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি এবং হাওড়াতে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা পশ্চিমের সবক’টি জেলায়। বুধে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সতর্কতা। বৃহস্পতিবারে ও দার্জিলিং জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি।