কলকাতা: পুজোর ২ দিন আগে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতা। রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে কলকাতা, সল্টলেক এবং লাগোয়া এলাকা বানভাসি চেহারা নিয়েছে। কোথাও কোমর সমান জল, কোথাও আবার হাঁটু পর্যন্ত। প্রচুর বাড়ির একতলায় জল ঢুকে গেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে পৌঁছলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 

Continues below advertisement

মেয়র জানান যে, কলকাতা জুড়ে এই বানভাসি পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে কেএমসি কন্ট্রোল রুম। কলকাতা জুড়ে সমস্ত কেএমসি জরুরি পরিষেবা নিয়ে হাই অ্যালার্ট জারি রয়েছে। সকল নাগরিককে নিরাপদে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। 

Continues below advertisement

এমন তুমুল একটানা বৃষ্টি সাম্প্রতিক সময়ে দেখেনি শহর কলকাতা ও শহরতলি। ৫ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কখনও এত পরিমাণ বৃষ্টি নথিবদ্ধ হয়নি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ার কামডহরিতে, ৩৩২ মিলিমিটার। এরপর যোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালীঘাটে ২৮০ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ২৭৫ মিলিমিটার। ভোর চারটে থেকে গঙ্গার সব লকগেট খোলা হয়েছে। কিন্তু দুপুর ১২টায় আবার লকগেট বন্ধ করা হবে। ফলে ওই সময় ফের ভারী বৃষ্টি হলে জলযন্ত্রণা আরও বাড়বে।                                              

এদিকে, উৎসবের শহরে দুর্যোগে দুর্বিপাকে ৭ জনের মৃত্যু! জলমগ্ন কলকাতায় পথে পথে মৃত্যুফাঁদ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল ৭ জনের। জলমগ্ন নেতাজি নগর মোড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। স্থানীয় সূত্রে খবর, জলমগ্ন রাস্তায় ব্যালান্স হারিয়ে বাতিস্তম্ভে হাত দিয়েছিলেন সাইকেল আরোহী বাবু কুণ্ডু। তখনই ঘটে যায় অঘটন। বেনিয়াপুকুরে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের কাছে জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক পথচারীর। কালিকাপুর ক্রসিংয়ের কাছে বছর পঞ্চান্নর এক সাইকেল আরোহীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গড়িয়াহাটের বালিগঞ্জ প্লেসেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মোমিনপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে জিতেন্দর সিং নামে এক প্রৌঢ়ের। অন্যদিকে, হরিদেবপুরের একটি কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কর্মীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। বহু জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জলে পড়ে রয়েছে। তড়িদাহত হওয়ার আশঙ্কায় একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।