কলকাতা: তাঁর মৃত্যু নিয়ে যেন এখনও ধোঁয়াশা, এখনও রহস্য। সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের (Zubeen Garg)। তাঁর মৃতদেহ সিঙ্গাপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে গুয়াহাটিতে। জুবিন গর্গকে শেষবারের মতো দেখার জন্য, গুয়াহাটির রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছিল। প্রয়াত শিল্পীর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁর বাড়িতেও। স্বামীকে শেষবারের মতো দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী। জুবিনের মৃতদেহ একদিনের জন্য সংরক্ষিত ছিল স্পোর্টস স্টেডিয়ামে। সেখানে অনুরাগীরা যাতে গায়ককে শেষবারের মতো দেখতে পান, সম্মান জানাতে পারেন, সেই কারণেই করা হয়েছিল এই ব্যবস্থা। তবে কীভাবে গায়কের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার।
অসম সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার, অর্থাৎ আজ ফের একবার ময়নাতদন্ত করা হবে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর। জুবিনের মৃত্যু নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তুলেছেন জুবিনের ফের একবার ময়নাতদন্ত করা হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি স্কুবা ডাইভিং-এর ভিডিও। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এবিপি লাইভ বাংলা। তবে অনেকেই সেই ভিডিও দেখে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রকম। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে।
জুবিন সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন একটি অনুষ্ঠান করতে। সেখানে গিয়ে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েই ঘটে দুর্ঘটনা। শোনা যাচ্ছে, জুবিন নাকি ভয় পেতেন জলে, তাহলে কেন তিনি স্কুবা ডাইভিং করতে নামলেন? তাঁকে কি কেউ জোর করেছিল? জুবিন যে স্কুবা ডাইভিং করতে নেমেছিলেন, সেখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল তো? জুবিনের সঙ্গে একটা টিম গিয়েছিল সিঙ্গাপুর। সেখানে ছিলেন জুবিনের ম্যানেজার। তাঁর নামে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তবে জুবিনের স্ত্রী আবেদন করেন এই এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের বিরোধী। তবে যেহেতু অনেকে প্রিয় গায়কের মৃত্যুর কারণ জানতে চান, যেহেতু অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে, সেই কারণেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জুবিনের পরিবারের থেকে সম্মতি ও নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সঙ্গীতশিল্পীর শেষযাত্রা কবে এবং কোথায় হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে দেহ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে কোনও রকম রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।