কলকাতা: অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বঙ্গে পা রেখেছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তবে নির্ধারিত সময়ের ৫ দিন পরে এবার বর্ষার প্রবেশ হয়েছে উত্তরবঙ্গে। যদিও দেরি হলেও মাঝে রাজ্যজুড়ে যেরকম তাপপ্রবাহের পর্ব চলেছে, তাতেই বঙ্গবাসী কার্যত চাতক পাখির মতোই বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। সোমবার সন্ধ্যাতেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে মহানগরে। যদিও ঠিক কবে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে ও তাপের দহন থেকে দক্ষিণবঙ্গবাসী বাঁচবেন, সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি আবহাওয়া অফিস। এর পর কেমন থাকবে তিলোত্তমা?
গত কাল কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (minimum temperature) ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (maximum temperature) ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে। আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার কথা। এদিকে তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।
আরও পড়ুন:সুস্থ শরীরে আয়ু বৃদ্ধি করতে চান? পাতে রাখুন এই খাবার