কলকাতা: মার্চের গোড়া থেকেই এবার পড়ি কি মরি করে উঠতে শুরু করেছে পারদ। দিনের তাপমাত্রা এর মধ্যেই ৩৫ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। দোলপূর্ণিমার দিনও বেশ উষ্ণ ছিল আবহাওয়া। বস্তুত. এবার মার্চ থেকে মে পর্যন্ত কাঠফাটা গরমের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে পারদের ঊর্ধ্বমুখী গতি থাকছে, তাতেও সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। দিনের বেলা জ্বালা ধরানো রোদ, এমনকি সূর্যাস্তের পরও স্নিগ্ধ বাতাসের পরশটুকু প্রায় নেই। কী হবে এর পর? 
  আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (minimum temperature) ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (maximum temperature) ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিক। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার (relative humidity) পরিমাণ ছিল ৫৯ শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকার কথা। তাপমাত্রার হেরফেরে  জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। 




বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে অগাস্টে সেই ছবি বেশ কিছুটা বদলেছে। সেপ্টেম্বরে একের পর এক নিম্নচাপ। অক্টোবরে পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। কালীপুজোও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত ছিল না। কিন্তু হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশে অস্বস্তি বেড়েছে শহরের।
ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী0। ভারতের বড় শহরের তালিকায় অন্যতম এই মহানগর। দেশের অন্যতম বড় বন্দরও বটে। গোটা পূর্বভারতের শহরকেন্দ্রিক কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান জায়গা কলকাতা। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ৯ মিটার।


আরও পড়ুন:ফুরফুরা শরিফে সওকত মোল্লাকে 'চোর চোর' স্লোগান