সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: উত্‍সবের মরসুমে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বাংলাদেশে তার প্রকোপ পড়লেও, বিপদ এড়িয়েছিল বাংলা। কিন্তু 
উত্‍সব মিটতেই, ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি বাংলায় (Weather Update)। বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ফের। 


বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের সম্ভাবনা, শীতের আগে বৃষ্টি বাংলায়!


আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে। এর প্রভাবে শীতের প্রাক্কালে, উপকূলের জেলাগুলোয় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপটি প্রবেশ করতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের স্থলভাগে। এর সরাসরি প্রভাব এরাজ্যে না পড়লেও, আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ থাকবে মেঘলা। 


আরও পড়ুন: Nisith Pramanik: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে 'হামলা', অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের


তবে, এই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম বলে অনুমান। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপের প্রভাবে, আগামী কয়েকদিন কলকাতার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। পরের সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে জেলায় জেলায় বাড়বে শীতের আমেজ। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে বা শিশির পড়তে পারে। এর ফলে, কমবে জলীয়বাষ্প। শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হবে। সকালে ও সন্ধ্যায় থাকবে মনোরম পরিবেশ। 


শীতের আগে বৃষ্টির দাপট রাজ্যে! পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর


অন্যদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শুক্রবার, সিকিম, দার্জিলিং এবং কালিম্পং, তিন পার্বত্য শহরে, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমের উঁচু এলাকায় সম্ভাবনা রয়েছে হালকা তুষারপাতের। 


তবে উৎসবের মরসুমের পর থেকেই শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে রাজ্যে। হেমন্তের শহরে শীতের আগমন বার্তা পাচ্ছেন অনেকেই। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ধীরে ধীরে ঠান্ডা পড়তে শুরু করবে।  উত্তুরে হাওয়ায় জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ।


বৃহস্পতি-শুক্রবারে দার্জিলিং, কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে সিকিমেও। তুষারপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।  সকাল-সন্ধেয় হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শীতের শিরশিরানি টের পাবেন রাজ্যবাসী, মনে করছেন আবহবিদরা। শুধু তাই নয়, অন্য বছরের তুলনায় এ বার শীতের তীব্রতাও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।