কলকাতা: মায়ানমারে আছড়ে পড়ল ‘মোকা’, বাংলায় কোনও প্রভাব পড়েনি। মায়ানমারের সিতওয়ের কাছে আছড়ে পড়ে ‘মোকা’। ‘মোকা’র তাণ্ডবে উত্তর মায়ানমারে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালি, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভারী বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে অব্যাহত থাকবে গরমের দাপট। ১৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা।                                                                  


মায়ানমারে আছড়ে পড়ল ‘মোকা’: এক একটা ঢেউ যেন দানব। গভীর গর্জন....সঙ্গে কার্যত তাণ্ডব। প্রচণ্ড ঝড়ের দোসর তুমুল বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে বাড়ছিল সে। আশঙ্কাকে সত্যি করে মায়ানমার উপকূলে ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'! সুপার সাইক্লোনের দানবীয় শক্তিতে তছনছ সিতওয়ে। প্রভাব পড়ল বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাতেও। রবিবার দুপুর ১২টার একটু আগেই, মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছে অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল। যার ঝাপটা টের পাওয়া যায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাতেও। বাংলাদেশের কক্সবাজারে উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র, ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। প্রকৃতির তাণ্ডবে খড়কুটোর মতো উপড়ে যায় একের পর এক মহীরুহ। চোখের পলকে যেন লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলবর্তী এলাকা।তড়িঘড়ি নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয় বাংলাদেশের সাগরপাড়ের বাসিন্দাদের।                                          

কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া? 


মোকার আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল দুর্ভোগ। প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা গেল না বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়।দিঘা থেকে বকখালি, সমুদ্র সৈকতে দেখা গেল পর্যটকদের চেনা ছবি। তবে মোকার পরোক্ষ প্রভাবে দিনভর বঙ্গের জেলায় জেলায় ছিল মেঘ-রোদের খেলা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি। তবে তারপর থেকে সাময়িক হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা।কবে জুড়োবে দহনজ্বালা, অপেক্ষায় বাংলা।


আরও পড়ুন: Summer Acne Problem : গরমে ব্রন নিয়ে জেরবার ? এই নিয়মগুলি মেনে চললে মিলবে মুক্তি