Hooghly Weather Update: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ রয়েছে হুগলি জেলায়। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিও হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলার বিভিন্ন অংশে। ষষ্ঠীতেও বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। সপ্তমীতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে হাল্কা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ হুগলি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রয়েছে। বাতাসে আজ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ প্রায় ৭৪ শতাংশ, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। অতিরিক্ত আপেক্ষিক আর্দ্রতার জন্য ভ্যাপসা গুমোট গরমে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হলেও গরমের হাত থেকে এখনই রেহাই নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।


পুজোর মূল চারদিন সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী- এই চারদিনই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। রবিবার সপ্তমীর দিন তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপের ভ্রুকুটির জেরেই হবে বৃষ্টি। সপ্তমী এবং অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। নবমী এবং দশমীতে হাল্কা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। সপ্তমীর দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। অষ্টমীর দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। নবমী থেকে বৃষ্টি কমলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হবে না।


সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত: আজ সূর্যোদয় (Sunrise) হয়েছে সকাল ৫টা ২৮ মিনিটে। আর সূর্যাস্ত (Sunset) হবে বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে।


হুগলি জেলার ভৌগলিক অবস্থান (Hooghly Geographical Situation): কলকাতার উত্তর দিক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বিখ্যাত নদী হুগলির পশ্চিম তীরে অবস্থিত হুগলি জেলা। এই নদীর নাম অনুসারেই জেলার নামকরণ হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার উপরে অবস্থিত এই জেলার পূর্বে রয়েছে হুগলি নদী অবস্থিত। হুগলির দক্ষিণে রয়েছে হাওড়া জেলা এবং উত্তরে বর্ধমান। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমে বাঁকুড়া জেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলার অবস্থান। হুগলি জেলার চারটি উপবিভাগ রয়েছে। সেগুলি হল যথাক্রমে- চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর এবং আরামবাগ। এই জেলার সফর দফতর অবস্থিত চুঁচুড়ায়।


আরও পড়ুন- সপ্তমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস, পুজোর বাকি দিনেও কি বৃষ্টি?