আজ হুগলি জেলার আবহাওয়া কেমন থাকবে সারাদিন, জেনে নিন। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অন্যদিকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কত কয়েকদিনের তুলনায় অনেকটাই পারদ পতন হয়েছে হুগলি জেলায়। আজ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে প্রায় ৮৮ শতাংশ, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি। ফলে অতিরিক্ত আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে এই জেলায়। ঘূর্ণাবর্ত এবং গভীর নিম্নচাপের জেরে হুগলি জেলায় কাল দিনের বেলায় বৃষ্টি হবে। বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। যদিও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। সকাল থেকেই মেঘলা থাকবে আকাশ। রাতের আকাশেও দেখা যাবে মেঘ। বেশি রাতের দিকে কয়েক পশলা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন বৃষ্টির বেগ একটু বাড়তে পারে। হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের আশপাশে। 


সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত: আজ সূর্যোদয় (Sunrise) হয়েছে সকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে। আর সূর্যাস্ত (Sunset) হবে বিকেল ৫টা ০৪ মিনিটে।


হুগলি জেলার ভৌগলিক অবস্থান (Hooghly Geographical Situation): কলকাতার উত্তর দিক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বিখ্যাত নদী হুগলির পশ্চিম তীরে অবস্থিত হুগলি জেলা। এই নদীর নাম অনুসারেই জেলার নামকরণ হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার উপরে অবস্থিত এই জেলার পূর্বে রয়েছে হুগলি নদী অবস্থিত। হুগলির দক্ষিণে রয়েছে হাওড়া জেলা এবং উত্তরে বর্ধমান। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমে বাঁকুড়া জেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলার অবস্থান। হুগলি জেলার চারটি উপবিভাগ রয়েছে। সেগুলি হল যথাক্রমে- চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর এবং আরামবাগ। এই জেলার সফর দফতর অবস্থিত চুঁচুড়ায়।


ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং


ইয়াস, আমফান, আয়লার ক্ষত এখনও রাজ্যের বুকে দগদগে হয়ে রয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেক ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটি। ধেয়ে আসছে সিত্রাং (Sitrang)। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামটি দিয়েছে তাইল্যান্ড। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় আছড়ে পড়বে সিত্রাং। তবে তার প্রভাব পড়বে এপার বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলেছে নবান্ন। শনিবার, নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কি পড়বে দুই বর্ধমানে ? আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া ?