হাওড়া: আজ হাওড়া জেলার (Howrah District) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Minimum Temperature) ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Highest Temperature) ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮২ শতাংশ। আজ সারাদিন হাওড়ায় থাকবে মেঘলা আকাশ। মেঘের পরিমাণ বাড়তে পারে। তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ হাওড়ায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ১২ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধে ৬টা ১০ মিনিটে।


আগামীকাল অর্থাৎ রবিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (Weather Forecast) জানানো হয়েছে, আকাশ মেঘলা থাকবে। সেইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকতে পারে ৮৬ শতাংশ। দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে ঘণ্টায় ২৩ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। কাল সকালে হাওড়ায় সূর্যোদয় হবে ৫টা ১৩ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধে ৬টা ০৯ মিনিটে।


পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হল হাওড়া। এই জেলায় দু’টি মহকুমা, হাওড়া সদর ও উলুবেড়িয়া। কলকাতার পাশের শহর হল হাওড়া। দুই শহরের মাঝে গঙ্গা। হাওড়া জেলার পূর্বে কলকাতা, উত্তরে হুগলি জেলা, দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। প্রাচীন জনবসতি হাওড়া শহরের ইতিহাস সুপ্রাচীন। একসময় বাণিজ্য নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল হাওড়া। পরে এই শহর শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।


আরও পড়ুন: Bankura Weather: বাঁকুড়ায় মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির সম্ভাবনা! আজ সারাদিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে?


হাওড়ার অন্যতম আকর্ষণ হল বেলুড় মঠ, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন, যা এখন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া স্টেশন দ্বিতীয় হুগলি সেতু, সাঁতরাগাছি ঝিলও হাওড়ার আকর্ষণ। হাওড়া জেলার প্রধান নদী গঙ্গা। এছাড়া রূপনারায়ণও হাওড়ার গ্রামীণ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান নদী।


কলকাতার পাশের শহর হওয়ায় হাওড়ায় গঙ্গার ওপারের আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে। আবার এই জেলার গ্রামীণ অঞ্চলে হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে।


অন্যদিকে, জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। তবে চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকেই ছবিটা একেবারে বদলে গেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত চলেছে। দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। পড়েছে নিম্নচাপের প্রভাব। তবে সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ আজ থেকে ফের শহরে ঝলমলে রোদ উঠেছে।