সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : পুড়িয়ে দেওয়া গরমকে তালাবন্দি করে রেখেছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Rain)। এই পরিস্থিতিতে আজ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তিলোত্তমায় কি স্বস্তি বজায় থাকবে ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কলকাতাবাসীর মনে। এই পরিস্থিতিতে জানা গেছে, আজ কলকাতায় (Kolkata) আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বিকেল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


এখনও অবধি মে’মাসের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মনোরম। পুড়িয়ে দেওয়া গরমকে তালাবন্দি করে রেখেছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আগামীকাল থেকে দমকা হাওয়ার প্রভাব কমবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি চলবে। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। 


কলকাতার আবহাওয়া-


এদিকে আজ কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, বিকেল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকে দুপুরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি নিচে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি নিচে ছিল ২৯.৭।


আজ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। শুক্রবারের মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। মৎস্যজীবীদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এর দিকে এগোবে। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে এগোতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে অশনি। 


জেলায় জেলায় কালবৈশাখী
মঙ্গলবার ভোর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয় বেশ কয়েকটি জেলায়। মুর্শিদাবাদের সুতিতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক মত্স্যজীবীর। পাশাপাশি, মালদার হবিবপুরে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী । মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম ও নদিয়া জেলার কয়েকটি জায়গাতেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়।