অরিন্দম চৌধুরী, আলিপুরদুয়ার : শীতের বিদায় বেলায় তুমুল বৃষ্টি হল আলিপুর দুয়ারে। সেই সঙ্গে পড়ল শিল। সোমবার রাত ৯-টা নাগাদ আবহাওয়ায় বদল আসে। ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। বৃষ্টির তোড় ছিল বেশ বেশি। ধারাপাত চলে মিনিট দশেক। বাড়ির ছাদ থেকে রাস্তা, মাঠ শিলে ভরে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এ যেন শীত শেষে বরফ পড়ার অনুভূতি। শিলাবৃষ্টির জেরে ক্ষয়-ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। সকাল হচ্ছে কোকিলের ডাকে। পলাশ, শিমূলের লাল-হলুদে জানান দিচ্ছে শীতের বিদায়বেলা। এরই মধ্যে রাজ্যে জেলা জেলায় দফায় দফায় চলছে শিলাবৃষ্টি । আর এমন সময়ে শিলাবৃষ্টির জন্য সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা।
গত কয়েক দিনে আলিপুর দুয়ার ছাড়াও রাজ্যের একাধিক জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। যেমন গত সপ্তাহেই ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরহঠাৎই ঝড়-জল দুর্যোগ শুরু হয়। রাতের দিকে এই দুই জেলাতেই ব্যাপক শিলাবৃষ্টি-ঝড় হয় । ঝাড়ের দাপটে গাছ ভাঙে খড়গপুরে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাটির বাড়িও। গত সপ্তাহেই ভারী শিলা বৃষ্টি হয় মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। হরিহরপাড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি গ্রস্ত হয় শস্য ও সবজির গাছ। রীতিমতো ক্ষতির সম্মুখীন হয় গম ও পেঁয়াজ। চাষিদের আশঙ্কা, এমন সময়ে বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হলে কী হবে।
আরও পড়ুন : সাতসকালে দুলে উঠল কলকাতা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা, ভূমিকম্প বঙ্গোপসাগরের গভীরে
গত বছর রেকর্ড গরম দেখেছে ভারত। গরমে নাভিঃশ্বাস উঠেছিল কলকাতারও। এবারও কি গরমের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যাবে ? রাজ্যে জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হলেও, গরমও পড়ছে বেলা বাড়লে। রাতের তাপমাত্রায় কিছুটা স্বস্তি আছে বটে। কিন্তু সকালে গরম পড়ছে বেশ। তবে এই মরসুমে খুব একটা শিলাবৃষ্টি হয় না। তবে জেলায় জেলায় হঠাৎ শিলাবৃষ্টি স্বস্তির পাশাপাশি বাড়াচ্ছে চিন্তা।
এরই মধ্যে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার মুম্বই, থানে-সহ একাধিক এলাকায় তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। সেইসঙ্গে এবার বেঙ্গালুরুও উষ্ণতর।