গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুর্যোগ অব্যাহত। টানা ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জেলার একাধিক এলাকা। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি আশ্রমের চারপাশ জল থৈ থৈ। চারিদিকে প্রায় হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে। একদিকে জলোচ্ছ্বাসের কারণে সাগরতট জুড়ে ভাঙন অব্যাহত। অন্যদিকে সাগরমেলার মাঠ পুরোপুরি জলমগ্ন


সুন্দরবনের কী অবস্থা? 
সুন্দরবনের নীচু এলাকাতে জল জমেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সকাল থেকে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে আছে। রাত থেকে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বইছে। সুন্দরবন উপকূলে বাতাসের তীব্রতা বেশি। সমুদ্র আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে অধিকাংশ ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে৷ তবে বেশ কিছু ট্রলার খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়েছে।


রাতভর বৃষ্টিতে জল যন্ত্রণায় ক্যানিং শহরের বাসিন্দারাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার গার্লস স্কুলপাড়া-সহ একাধিক এলাকায় জল। রাতভর বৃষ্টিতে জল জমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।


অন্য জেলাতেও বৃষ্টির দাপট:
ঘূর্ণাবর্তের জেরে লাগাতার বৃষ্টি রাজ্যের অন্য জেলাগুলোতেও। জল জমে বানভাসী অবস্থা হয়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়া রেল কলোনি ও গার্লস স্কুল কলোনিতে।  ওই দুটি এলাকা মিলিয়ে প্রায় ২০০ পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুর, রাধামোহনপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জলে নাকাল সাধারণ মানুষ। লাগাতার বৃষ্টির কারণে ওই এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান ও আনাজ জলের তলায় চলে গিয়েছে। এর ফলে চাষে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। প্রবল নিম্নচাপের জেরে গতকাল সন্ধে থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে অন্ডালে। তার সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টি হলেই খনি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধসের আশঙ্কা বেড়ে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। লকগেট বন্ধ থাকায় জলমগ্ন কাটোয়া শহরও। রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন দুর্গাপুর পুরসভার অন্তত ১২টি ওয়ার্ড। মেন গেট, ৫৪ ফুটের মতো জায়গা সকাল থেকেই জলমগ্ন।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: 'হাতে স্মার্টফোন আসায় দারিদ্র্য থেকে মুক্তি ৮০ কোটির', ভারতের ভূয়সী প্রশংসা কার মুখে?