কলকাতা : রাজ্যজুড়ে বিদায়ের মুখে শীত। ভোরে হিমেল পরশ থাকলেও বেলা বাড়লেই চড়া রোদ। আরও কিছুটা বাড়ল তাপমাত্রা (Temparature on Rise) । আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর (Alipore Metrological Department) জানিয়েছে, এরপর নতুন করে আর পারদ পতনের সম্ভাবনা নেই। ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। যার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই অল্প স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিললেও মিলতে পারে। 


এদিকে, কোথাও মুষলধারে, কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে। কোথাও ঝড়-বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড চারিদিক তো কোথাও শিলাবৃষ্টি। সবমিলিয়ে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির দাপট। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই উত্তরবঙ্গের (Rain in North Bengal) একাধিক এলাকায় বুধবার ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। সেই ধারা অব্যাহত বৃহস্পতিবার সকালেও।


প্রসঙ্গত, চলতি মার্চের শুরুতেই দেখা গিয়েছিল উষ্ণ বসন্ত। মার্চের শুরুতেই কলকাতায় পারদ ছিল ৩৫ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আবহাওয়া দফতর জানায়, দখিনা বাতাসে ভর করে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে। মাস এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যজুড়েই বেড়েছে গরমের প্রকোপ। যারপর অবশ্য একাধিক জেলায় দেখা গিয়েছে বৃষ্টির রেশ। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় যার তীব্রতা অনেক বেশি। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য যা বেশ কম। 


এদিকে, ঝড়বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গাতেই এদিন লোডশেডিং (Loadsheading) হয়। যা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, ঝড়বৃষ্টির কারণে লোডশেডিং হয়ে যাওয়ায় 'এক ডাকে অভিষেক'-এ অনেক ফোন পেয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Uchha Madhyamik Examination) চলার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ফের বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করতে আড়াইশোর বেশি কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। 


পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। এর মাঝে তাপমাত্রার বৈপরীত্য থেমে ঊর্ধ্বমুখী হলে রোগ-ভোগের পরিমাণ কমবে বলেই প্রত্যাশা। 


আরও পড়ুন- কোথাও ঝড়, কোথাও শিলাবৃষ্টি, উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিপত্তি, লোডশেডিং