সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বিপুল পরিমাণ গাঁজা (Marijuana Recovery) উদ্ধার বাজেয়াপ্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Indo Bangladesh Border)। উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ প্রায় ৫ কেজি। বিএসএফের দাবি, মাদক চোরাচালানকারীরা ওই গাঁজা ভারত থেকে বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় সেই ছক বানচাল হয়ে যায়। 


কী ঘটেছিল?
২০২৩ সালের ১৪ মার্চ। বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি আমুদিয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কর্তব্যরত জওয়ানরা কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপের হদিস পেয়েছিলেন। তার পরই ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন তাঁরা। সেই সময়ই ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। তবে এলাকাটি ঘন ঝোপঝাড়ে ভরা থাকায় সেই সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায় মাদক চোরাচালানে জড়িতরা। বাজেয়াপ্ত গাঁজডা পরবর্তী আইনানুগ ব্য়বস্থা নিতে তেতুলিয়া ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য় কাস্টমস অফিসেরা হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার জওয়ানদের এই সাফল্যে প্রশংসা করেন। সঙ্গে আহ্বান, জনগণ যেন কোনও অবস্থাতেই চোরাচালানের পথ অবলম্বন না করেন। তবে একই সঙ্গে কঠোর ভাষায় তাঁর বার্তা, সীমান্তের দিকে কড়া নজর রয়েছে বিএসএফ জওয়ানদের। চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ যে তাঁরা ঘটতে দেবেন না এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও যে ছাড় দেবেন না, সেটিও স্পষ্ট জানিয়ে দেন। প্রসঙ্গত সীমান্তে চোরাচালানের চেষ্টা একেবারে নতুন কোনও ঘটনা নয়। কখনও মাদক, কখনও সোনা চোরাচালানের চেষ্টা প্রায়ই হতে থাকে।


সোনা পাচারের চেষ্টা...
গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময়ে উদ্ধার হয়েছিল সাড়ে ৪১ কেজি সোনা! বনগাঁর গুনারমাঠ থেকে ওই পরিমাণ সোনা উদ্ধার করে বিএসএফ। জানা যায়, ইছামতীতে নৌকা করে পাচারের সময় হদিস মেলে ২১ কোটি টাকার সোনার। বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় সোনা পাচারকারীরা। নৌকা থেকে উদ্ধার হয় ৩২১টি সোনার বিস্কুট, ৪টি সোনার বার, ১টি সোনার কয়েন। উদ্ধার সোনার বাজারমূল্য ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। বিএসএফের হাতে বাজেয়াপ্ত হয় পাচারকারীদের মোবাইল ফোন। ঘটনাচক্রে ওই ঘটনার দিনই কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমায় ছাবরী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নকল ভারতীয় আধার কার্ড-সহ ১০ বাংলাদেশী নাগরিক আটক হন। বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার  রাতে দিনহাটা দু-নম্বর ব্লকের ছাবরী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দিয়ে অবৈধভাবে পারাপারের সময়ে বিএসএফ ১৯২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত জওয়ানদের হাতে আটক হয়েছিলেন তাঁরা।


আরও পড়ুন:দ্বৈত ভূমিকায়! প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতায় সিভিক ভলান্টিয়ার, বাঁকুড়া পুলিশের সিদ্ধান্তে বিতর্ক