আবীর দত্ত ও হিন্দোল দে, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বৃষ্টি হচ্ছে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বহু এলাকায়। বৃষ্টি শুরু হয়েছে বকখালিতেও। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। নামানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) জওয়ানদের।
ইতিমধ্যেই শক্তিবৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। বঙ্গোপসাগরের জঠরে তৈরি হওয়া দানবের মোকাবিলায় তুঙ্গে প্রশাসনিক তৎপরতা।
দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকায়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
সেই মতো, মঙ্গলবার সকাল থেকেই সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। কোথাও বাঁশি বাজিয়ে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তো কোথাও দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই খালি করে দেওয়া হয়েছে সমুদ্র সৈকত। দুপুরের পর, দিঘায় নামানো হয় এনডিআরএফ জওয়ানদের। পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার চালায় পুলিশ।
দিঘা কোস্টাল থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, পর্যটকরা যেন সমুদ্রের কাছে না আসতে পারে, তার জন্য প্রচার করা হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একই ছবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালিতেও। বিকেলের পর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। সকাল থেকেই তৎপর প্রশাসন। মোতায়েন রয়েছেন সিভিল ডিফেন্স ও এনডিআরএফ জওয়ানরা। সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
নামখানার বিডিও শান্তনুসিংহ ঠাকুর বলেন, (সাড়ে ১০ হাজার লোককে সরানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সরানো হবে, শুকনো খাবার মজুত করা আছে। ইতিমধ্যেই, বেশ কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। দুর্যোগ এলে, সেই প্রস্তুতি কতটা বাস্তবায়িত হয়, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে সরে এসেছে নিম্নচাপ, আজ ও কাল প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের মাঝেই নিম্নচাপের চোখ রাঙানি, ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে