গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কেরলে সময়ের আগেই পা রেখেছে বর্ষা। পশ্চিমবঙ্গেও আগাম বর্ষার পূর্বাভাস। আর এরই মধ্যে নিম্নচাপ ও অমাবস্যার ভরা কটালের জোড়া ফলায় আবারও সুন্দরবনের শিয়রে দুর্যোগের ভ্রুকুটি।
গত তিন দিন নাগাড়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে সুন্দরবনজুড়ে। সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে। আজ সকাল থেকে জেলার আকাশ মেঘে ছেয়ে আছে। ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানাজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে।
আগামীকাল থেকে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা আছে। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঙ্গাসাগর ও বকখালিতে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মাইকিং শুরু করেছে। জোয়ারের সময় পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুন্দরবনের বিভিন্ন উপকূলে সিসিটিভি মনিটর করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ট্রলারগুলি বিভিন্ন ঘাটে ও বন্দরে নোঙর করা আছে। আজ জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় যুক্ত সব বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আজ দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলাতেও ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। আজ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। কাল থেকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। পরের ২ দিনে শক্তি বাড়াবে নিম্নচাপ। বুধবার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আজ দিনভর মেঘলা আকাশ। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।