সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: সোমবার ব্যান্ডেলের এক দলীয় কর্মসূচি সেরে ফিরছিলেন চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। ব্যান্ডেল মোড়ে এসে দেখতে পান তৃণমূলের  শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে বসেছে গাঁজার ঠেক। পাশে রয়েছে শিব মন্দির সেখানেও  গাঁজার আসর বসে বলে অভিযোগ। 

Continues below advertisement

এরপরেই বিধায়ক সামনে যেতেই কয়েকজন যুবক সেখান থেকে ছুটে পালায়। তৎক্ষণাৎ ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশকে ফোন করেন অসিত। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। উপস্থিত হন স্থানীয় ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান উপ প্রধান সহ তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল কার্যালয়ের সামনেই রয়েছে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বেসরকারি স্কুল।

তৃণমূলের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের এই কার্যালয় উদ্বোধন করেছিলেন খোদ বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেই অফিসে নেশার ঠেক বসছে এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। এরপরে তিনি তৃণমূলের প্রধান উপপ্রধানকে নির্দেশ দেন এই অফিসে যেন তালা দেওয়া হয়।

Continues below advertisement

পরে অসিত মজুমদার বলেন যে, পার্টি অফিসে গাঁজা বিক্রি হবে সেটা পার্টি অফিস নাকি ধান্দা বাজদের অফিস। ধান্দাবাজ তৃণমূল হতে পারেনা। তৃণমূলের পতাকার সাহায্য নিয়ে ধান্দাবাজি করছে আমাদের লোক। গাঁজা বিক্রি করে আমাদের লোক। গাঁজা বিক্রি করা লোক কখনো তৃণমূলের হতে পারে না। এরা সমাজ বিরোধী এরা সমাজের কলঙ্ক।এই অফিস করার সময় আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল আমি উদ্বোধন করে গেছি। কে গাঁজা খায় কে মদ খাচ্ছে সেটা আমি জানিনা।        

ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতে উপপ্রধান প্রদীপ কুমার রায় বলেন, বিধায়ক বলেছেন কার্যালয় বন্ধ করে দিতে কাল সকালে আমরা দলীয় ছেলেদের নিয়ে এসে তালা দেব। ড্রাইভার খালাসিরা বসে গাঁজা খায়। এ নিয়ে এর আগে আমাদের কাছে এরকম কোন খবর ছিল না।               

আর এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, জুয়া সাট্টা মদ গাঁজা তৃণমূলের পার্টি অফিসে হবে না এটা কোনদিন হয় নাকি। এগুলো নিয়েই তৃণমূলের পার্টি অফিসের সমস্ত কার্যকলাপ চলে। বিধায়ক পার্টি অফিস বন্ধ করতে গেলে সারা পশ্চিমবাংলার সমস্ত পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে কারণ সব পার্টি অফিসেই এসব চলে। বিধায়ক বিধানসভা ভোটের আগে মানুষের সামনে নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে চাইছে আর কী।