মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় নাম জড়াল দুই পুলিশ কর্মীর। দুই পুলিশ কর্মী-সহ ওই ব্যবসায়ী সংস্থার কর্মী-সহ গ্রেফতার মোট ছয় জন। 'ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ' বলে সাদা পোশাকে গাড়ি থামিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকার উপর ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। এক এএসআই, সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের কনষ্টেবল-সহ পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত এক পুলিশ কর্মী-সহ ৬ জন গ্রেফতার।


বৃহস্পতিবার দিনভর এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির বাসিন্দা পেশায় রেলের ঠিকাদার (লিজ হোল্ডার) মুকেশ চাওলার সঙ্গে ব্যবসা করবে বলে আলাপ জমায়  আসানসোলের এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে দুর্গাপুর থানার এএসআই অসীম চক্রবর্তী, সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের কনষ্টেবল চন্দন চৌধুরী-সহ পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত এক পুলিশ কর্মী। নতুন ব্যবসায়িক 'পার্টনার'দের সঙ্গে আলাপ ও ব্যবসার কথা বলতে মুকেশ দিল্লী থেকে আসানসোলের সীতারামপুরে চলে আসেন। ব্যবসার কথাবার্তা পাকাও হয়ে যায়। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে মুকেশ  আসানসোল থেকে রেলের কলকাতা অফিসে ব্যবসার জন্যে টাকা জমা করতে ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা নগদ নিয়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রওনা দেন। তারই অফিসের কোনও কর্মীর মাধ্যমে এই খবর চলে যায় তাঁর নতুন অংশীদারদের কাছে।


আরও পড়ুন, 'রাত দখলের' আগে বার্তা কুণালের, '...মানুষকে সতর্ক রাখছি'


দুর্গাপুর থানার ডিভিসি মোড়ের পিয়ালা কালী মন্দিরের কাছে প্রস্তুত হয়ে থাকে পুলিশের এএসআই, সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের কনষ্টেবল সহ পুলিশের সেই বরখাস্ত অফিসার-সহ আসানসোলের তিন ব্যবসায়ী। গাড়ি আসতেই গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যায় ওই তিন 'গুণধর' পুলিশ সহ ৬ জন। নিজেদের 'ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ' বলে গাড়ি রাস্তা থেকে সাইডে নামাতে বলে। মুকেশকে চমকাতেই ভয়ে তিনি টাকা দিয়ে দেন। টাকা নিয়ে এলাকা ছাড়েন ৬ জন। বৃহস্পতিবারই বিকেলে মুকেশবাবু দুর্গাপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান,'এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।