সমীরণ পাল, অশোকনগর: মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বহু চর্চিত ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এস আই আর) এর কাজ। আশা আকাঙ্ক্ষা আতঙ্কের দোলাচলে রয়েছেন মানুষ। তার মধ্যেই এই বিশেষ দিনেই অশোকনগরের একটি অভিজাত মিষ্টান্ন ভান্ডারে শুরু হয়ে গেল এসআইআর সন্দেশের বিক্রি।
বিক্রেতার দাবি ভারত সরকারের চালু করা এসআইআর নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতেই এই মিষ্টির ভাবনা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যেদিন এস আই আর ফর্ম বিলি শুরু হল বাড়ি বাড়ি ঠিক সেদিন থেকেই এই মিষ্টির বিক্রিও শুরু হয়েছে। বেশকিছু মানুষজন এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনব সন্দেশ। ১০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে এই অভিনব সন্দেশ।
এর আগেও সাম্প্রতিকতম ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন রকম মিষ্টি বানিয়েছেন অভিজাত মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার কমল সাহা। ফের এস আই আর আবহে এমন মিষ্টি বানিয়ে চমক দিলেন তিনি।
বিক্রেতার কথায়, মানুষজনের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জানালেন, মিষ্টি কিনে নিয়ে গেছেন বিদ্যাসাগর বাণী ভবন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষ সহ একাধিক ক্রেতা। মনোজবাবু জানিয়েছেন, এই মিষ্টি মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এমনটাই আশা করছি। পাশাপাশি একটিও বৈধ ভোটারের যাতে নাম না বাদ যায় সেই দাবি আবার জানিয়েছেন শিক্ষক মনোজ ঘোষ। সব মিলিয়ে এস আই আর আবহে নতুন সংযোজন অশোকনগরের এই মিষ্টির দোকানের অভিনব এস আই আর সন্দেশ।
SIR প্রক্রিয়ার মধ্যেই এবার শুরু হয়ে গিয়েছে 'এনুমারেশন' প্রক্রিয়া। বিভিন্ন জেলায় ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন BLO-রা। সঙ্গে রয়েছেন BLA। কী কী তথ্য দিতে হবে, এনুমারেশন ফর্মে। কীভাবে পূরণ করতে হবে ফর্ম। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এর মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলের বুথ লেভেল এজেন্ট বা BLA-দের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে।
অন্যদিকে, SIR মামলায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ। নির্দেশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের। '২০০২ এর ভিত্তিতে কেন হচ্ছে SIR? ২০২৫ এর তথ্যের ভিত্তিতে করা হোক SIR', কলকাতা হাইকোর্টে শুনানিতে সওয়াল মামলাকারীর আইনজীবীর। '২০০২-তে শেষবার SIR-এর সময় যাদের নাম ভোটার লিস্টে ছিল, তাদের নতুন করে কোনও নথি দিতে হবে না। এবারকার SIR, ২০২৫-এর ভোটার লিস্টকে ভিত্তি করেই হচ্ছে, জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দিকে দিকে BLO রা হুমকির মুখে পড়ছেন, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। শুনানিতে সওয়াল মামলাকারীর আইনজীবীর। 'সরকার জানে কীভাবে তার কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হয়। আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়ার দরকার নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির।