আশাবুল হোসেন, কলকাতা: হাওড়া পুরসভা থেকে আলাদা হয়ে গেল বালি পুরসভা। আজ বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। এর আগে হাওড়া পুরসভার অধীনে ছিল বালি পুরসভা। বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়া পুরসভায় ছিল ৬৬টি ওয়ার্ড। আজ বালি পুরসভা আলাদা হয়ে যাওয়ার ফলে আগামী পুর নির্বাচনে হাওড়ায় ভোট হবে ৫০টি ওয়ার্ডে।


‘নাগরিক পরিষেবা মাইক্রো লেভেলে পৌঁছে দিতে এই সিদ্ধান্ত’, বিধানসভায় জানালেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


১৯ ডিসেম্বর কলকাতার সঙ্গে হাওড়া পুরসভায় ভোট হবে। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে লিখিত সম্মতিপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে হাওড়ায় পুরভোট ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সোমবার পুরসভার সামনে আইন-অমান্য কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বামেরা। মঙ্গলবার হাওড়ায় পুর পরিষেবা ইস্যুতে বাগযুদ্ধে জড়ায় রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট না হওয়ায় হাওড়া শহরে শিকেয় উঠেছে পুরপরিষেবা। দুর্নীতি আর অনুন্নয়নের অভিযোগে সুর চড়িয়েছে তারা।


২০১৩ সালের পুরভোটে বামেদের থেকে হাওড়া পুরসভা ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর প্রায় ৩ বছর প্রশাসক বসিয়ে পুরসভার কাজ চলছে। কিন্তু পুরভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে রাজনীতির পারদ।


হাওড়া আর বালি পুরসভাকে আগের অবস্থায় ফেরানোর সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয় কয়েক মাস আগেই। গত জানুয়ারি মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বালিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আজ বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করে পুর ও নগরোন্নয়নন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘একসময় হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বালি পুরসভাকে যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা গেছে যে মাইক্রো লেভেলে নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে গেলে বালিকে আলাদা করা দরকার। তাই চলতি বছরের শুরুতেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল।’