হায়দরাবাদ : সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) প্রস্তুত করা কোভ্যাক্সিন। এবার এই ভ্যাকসিনের কার্যকরিতার কথা জানাল মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতে তৈরি এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপে কার্যকরিতা পাওয়া গেছে ৭৭.৮ শতাংশ। এছাড়া করোনার সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৭০.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন।


করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর কোভ্যাক্সিন, এই সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, উপসর্গহীন সংক্রমিতদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ৬৩.৬ শতাংশ কার্যকর, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ এবং কাপ্পা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৯০.১ শতাংশ কার্যকর। 


সম্প্রতি দেশকে স্বস্তি দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। কিন্তু কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি সংস্থাকে। এর নেপথ্যে কোভ্যাক্সিনকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারকেই দায়ী করেন সংস্থার চেয়ারম্যান ডক্টর কৃষ্ণা এল্লা। তিনি সাফ জানান, এমন প্রচার না হলে হয়ত কোভ্যাক্সিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমতি আরও আগেই দিত।                              


Covaxin-এর WHO অনুমোদনের সম্মুখীন হওয়া প্রতিবন্ধকতাগুলি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের ৫টি ভ্যাকসিন রয়েছে। WHO-এর যোগ্যতা অর্জনও করত। তাই আমরা এটি খুব ভালভাবে জানতাম, আমরা জানি কীভাবে এটি করতে হয়। কিন্তু সমস্যা হল অনেক মিডিয়া লোক যারা নেতিবাচক, তারা এমনকী ভোপালে কিছু মৃত্যুর দিকে নজর ঘোরানোর জন্য বৈজ্ঞানিক জার্নালে লিখেছে আমাদের টিকার নামে। সেই ঘটনা আত্মহত্যার কারণে ঘটেছে তবে এর জন্য ভ্যাকসিনকে দায়ী করা হয়েছে”।    


কিন্তু এই নেতিবাচক প্রচারের পিছনে কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, তখনই তারা বলেছিলেন যে এটি বিজেপির ভ্যাকসিন, এটি একটি মোদি ভ্যাকসিন। আমি বলতে চাই আমরা বিজ্ঞানী, আমরা রাজনীতি বুঝি না।"