উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, জয়দীপ হালদার, কলকাতা: বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে ফের বিভ্রাট। গরহাজির দুই বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মিহির গোস্বামীর (Mihir Goswami) নামেও পড়ল ভোট! রিগিং কারচুপির অভিযোগে তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল (TMC)। পাল্টা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব বিজেপি (BJP)। হয়তো টেকনিক্যাল ভুল, বললেন অধ্যক্ষ।


এ বার ভোট কারচুপির অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে


বিধানসভায় ফের ভোট-বিতর্ক। অধিবেশনে না থাকলেও শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামীর নামে ভোট পড়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, রিগিং করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, ভোট মেশিনে কারচুপি হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার বিধানসভায়, পশ্চিমবঙ্গ কৃষি সংশোধনী বিল (West Bengal Agriculture Amendment Bill) পাসের জন্য ভোটাভুটি হচ্ছিল। ভোটের পর দেখা যায়, বৈদ্যুতিন মেশিনে ভোট পড়েছে, ১৭৫ টি। তার মধ্যে সরকারের পক্ষে ১২০ এবং বিজেপি- পক্ষে ৫২টি। দুই বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। ভোট দেননি এক জন। 


এই ফলাফল দেখে বিজেপি দাবি করে, বিধানসভায় তাদের ৫৩ জন বিধায়ক উপস্থিত রয়েছেন। সেক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষে ৫২টি ভোট হয় কী করে, প্রশ্ন উঠছে। এর পরই স্পিকার বিশদ ফলাফল চেয়ে পাঠান। বিজেপি সদস্যদের নাম ধরে ডাকতে থাকেন, তখনই দেখা যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং মিহির গোস্বামীর নামে ভোট পড়েছে। অথচ দুই বিজেপি বিধায়কই নেই অধিবেশনে ছিলেন না। 


আরও পড়ুন: Kolkata News: কী হাল ত্রিফলার? রিপোর্ট চাইলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম


গত সোমবার, আচার্য বিলের ভোট গণনার দিনও বিধানসভায় ভোটাভুটিতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বিজেপির ১৭টা ভোট চলে যায় তৃণমূলের ঘরে। তাই নিয়ে ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। যদিও অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, বিধানসভার এক আধিকারিকের ভুলে এটা হয়েছে। তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধনও করে নেওয়া হয়। 


এ বারের ঘটনার পর বিজেপিকে চেপে ধরেন তৃণমূল বিধায়করা। বিধানসভার ভিতর ভোট চোর ভোট চোর স্লোগান ওঠে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অধ্যক্ষের উদ্দেশ্য বলেন, "কারচুপির তদন্ত করা হোক।" 


অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়করা বোঝাতে থাকেন, তাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত নন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীকে ছাপ্পাশ্রী দেওয়া উচিত। আগে বাইরে ছাপ্পা দিতেন, এখন বিধানসভাতেও ছাপ্পা দিচ্ছেন।"


পশ্চিমবঙ্গ কৃষি সংশোধনী বিলকে ঘিরে তরজা


শেষ পর্যন্ত হাল ধরেন অধ্যক্ষ। ইলেটকট্রনিক ভোটিং মেশিং এবং স্লিপ, দুইয়ের মাধ্যমেই ভোট করিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত, স্লিপের ভোটটিকে চূড়ান্ত বলে ধরা হয়। স্লিপে সরকারের পক্ষে ভোট যায় ১২১টি। বিজপি-র পক্ষে ভোট পড়ে ৫৩টি।