উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : সোমবার বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হল বিধানসভা। ঘটে গেল এমন এক ঘটনা , যা সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে কাগজ ছোড়ার অভিযোগে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারী সহ ৪ বিধায়ককে। আর এবার মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়া হল ২ বিজেপি বিধায়ককে। কেন এমন পদক্ষেপ ? ৪ বিজেপি বিধায়কদের দাবি, 'কেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না?'এই প্রশ্ন তোলারই 'শাস্তি'দেওয়া হল তাঁদের।
ঘটনাটি ঠিক কী ?
সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর দুই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মনোজ ওঁরাও-কে মার্শাল ডেকে বের করে দেন স্পিকার। ঘটনাটি ঠিক কী ? এদিন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, '১০ বছর ধরে পাবলিক সার্ভিস কমিশন কাজ করছে না। কেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না?'। এই প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি বিধায়কের এক্তিয়ার স্মরণ করিয়ে দেন স্পিকার।
' হিরণের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়'
অভিযোগ, হিরণের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপির বিধায়করা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন শঙ্কর ঘোষ ও মনোজ ওঁরাও। এরপরই মার্শাল ডেকে ২ বিজেপি বিধায়ককে বের করে দেন স্পিকার। সাসপেন্ড করা হয় ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকে। প্রসঙ্গত,৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড হন শুভেন্দু অধিকারী সহ ৪ বিধায়ক। তবে দীপককে গোটা অধিবেশনের জন্য নয়, শুধু সোমবারের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
BJP র প্রতিক্রিয়া
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, বিধানসভায় বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না। একের পর এক বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। বিরোধীদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুললেই মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, বিধানসভায় বিরোধীদের কথা বলার অধিকার নেই'।
শুভেন্দু অধিকারী কী বললেন ?
এই ঘটনার পরে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এদিনের ঘটনা নিয়ে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন :
ফের উত্তপ্ত যাদবপুর, ওমপ্রকাশ ঢুকতেই উঠল স্লোগান, ক্যাম্পাসে ঢুল পুলিশ