কলকাতা:  বিধানসভায় বেনজির সংঘাত, উত্তাল অধিবেশন। নিজের আসনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ বিজেপি বিধায়কের। বিজেপির স্লোগানের মধ্যেই বিধানসভায় ভাষণ মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য পেশ করতে উঠতেই তাঁর দিকে কাগড় ছুড়লেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে বেনজির উত্তেজনা ছড়ায় আজ। বিধানসভায় উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এমন একদিন আসবে, বিজেপির একজনও জিততে পারবে না। বাঙালির উপর অত্যাচার করে সব ক'টা হারবে। বাংলার উপর ভাষা সন্ত্রাস করে বাংলায় জেতা যায় না।বাংলা-বাঙালিদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। এরা বাংলা জানে না, বাংলার আন্দোলন জানে না। বিজেপি স্বৈরাচারীর দল, চোরেদের দল। বাংলা ভাষাকে অসম্মান করতে দেব না। চোরেদের জমিদার, লুঠেদের দল বিজেপি। বাঙালিদের আওয়াজ বন্ধ করতে চায় বিজেপি'।

বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখেই হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, 'এরা বাংলা বিরোধী, বাংলা ভাষার ওপর অত্যাচার করে। বিজেপি দেশের লজ্জা। বাংলার ওপর অত্যাচার করলে সব কটা হারবে। এরা গদি চোর, ভোট চোর। বিধানসভায় কাগজ ছুড়ছেন এটা অনৈতিক। বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের দল বিজেপি। আর নেই দরকার মোদি সরকার। 

এরপর তৃণমূল বিধায়কদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, 'বিজেপি বিধায়করা যখন বলবে তখন কাউকে বলতে দেবে না। বিজেপি বাংলা বিরোধী, বাঙালির অত্যাচার মানবো না। জনগণের ধাক্কা দিয়ে বিজেপিকে শূন্য করে দেব। ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের রাজনীতি করে বিজেপি। অগণতান্ত্রিকভাবে আমাকে বলতে বাধা বিজেপির। ভয় পেয়ে বাংলার মানুষকে হেনস্থা। বাংলার মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবে।' 

এদিন বিধানসভায় অশান্তির জেরে সাসপেন্ড বিজেপির ৫ বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার সাসপেন্ড শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল। সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষ। মার্শাল দিয়ে বের করার নির্দেশ মিহির গোস্বামীকে। নিজের আসনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ বিজেপি বিধায়কের। শঙ্কর ঘোষকে বাইরে বার করতে হাজির মার্শাল। বিজেপি বিধায়ক-বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে হাতাহাতি চলে। শঙ্কর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বার করার চেষ্টা ৭-৮ জন মার্শালের। শঙ্কর ঘোষকে ঘিরে রেখে স্লোগান, মার্শালদের বাধা বিজেপি বিধায়কদের। 

শঙ্কর ঘোষকে মার্শাল দিয়ে বাইরে বার করার চেষ্টা। অসুস্থ শিলিগুড়ির বিধায়ক, ভর্তি হাসপাতালে। খোঁজ নিলেন জে পি নাড্ডা। গন্ডগোলের ভিডিও পাঠালেন শুভেন্দু।