কলকাতা: তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) চ্যাংদোলা মন্তব্য নিয়ে এদিনও বিধানসভা উত্তাল। আর অধিবেশন শুরুর আগে ফের বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর। এখনও 'ঠুসে দেওয়া'র মন্তব্যে অনড় ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)।
২০২৬-এ জিতে আসা তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এক যোগে বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করলেন শাসকদলের বিধায়করা। 'ঠুসে দেওয়া'র হুমকি দেন হুমায়ুন কবীর। সেই মন্তব্যেই অনড় রইলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। এদিন হুমায়ুন কবীর বলেন, "ঠুসে দেওয়ার কথা শুনেই তো ভয় পেয়ে গেছে। স্পিকারের সচিবালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য চিঠি দিচ্ছে। যার দম নেই, সে সেকথা বলে কেন? গোটা সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে কেন? আমাদের সম্প্রদায়ের সব লোক তো এখনও মুখ খোলেনি। আমি একা মুখ খুলেছি, তাতেই বলছে বিধানসভার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাদের দলের বিধায়ক বলছে খুন হয়ে যেতে পারে। আমরা কি খুন করতে আসি না কি? সেও বিধানসভার সদস্য আমরাও সদস্য। সে যদি আমাকে তুলে ফেলতে পারে, আমিও তাকে ঠুসে দিতে পারি।''
শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, "বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব, আর ওদের (তৃণমূল) যে ক'টা মুসলমান বিধায়ক জিতে আসবে, বিজেপি সরকারে আসবে, চ্যাংদোলা করে তুলে রাস্তায় ফেলব।'' এর প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, "আপনি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই কথা প্রত্যাহার না করলে এই ৪২ জন MLA আপনাকেই বিধানসভার ভিতরে আপনার যে ঘর, সেই ঘরের বাইরে আপনাকে আমরা বুঝে নেব। আপনি পারলে ৬৬ জন নিয়ে আমার মোকাবিলা করবেন। আমি হুমায়ুন কবীর নেতৃত্ব দিয়ে বোঝাপড়া করব। দেখি আপনি কতটা কেন্দ্রীয় ফোর্স নিয়ে আমাদের মোকাবিলা করতে পারেন।''
বৃহস্পতিবার, বিধানসভা কক্ষে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, বিজেপির মুখ্য় সচেতক, শঙ্কর ঘোষ বলেন, বিধানসভা চত্বরে, শুভেন্দু অধিকারীকে হুমকি দিয়েছেনহুমায়ুন কবীর ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এটা হিংসার আচরণের বহিঃপ্রকাশ। বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন এহেন মন্তব্য়ে আমরা আতঙ্কবোধ করছি। তৃণমূলের ২ বিধায়ককে এই মন্তব্য় প্রত্য়াহার করতে হবে বলে দাবি করেন শঙ্কর ঘোষ। পাল্টা নিন্দা প্রস্তাব আনেন, তৃণমূলের মুখ্য় সচেতক, নির্মল ঘোষ। এই নিয়ে ২ পক্ষই আলোচনা চায়। স্পিকার জানান এ বিষয়ে বুধবার মুখ্য়মন্ত্রী আলোচনা করেছেন। আর আলোচনা নিষ্প্রয়োজন। এরপরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।