মালদা ও নদিয়া: বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া প্রহরা দিচ্ছে বিএসএফ। এই আবহেই মালদায় বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বিএসএফ-এর। সীমান্তরক্ষা বাহিনীর চেষ্টায় রুখে দেওয়া গেল চোরাকারবার। মালদার কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের কাছে এই ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় প্রথমে চোরাকারবারীদের আটকায় বিএসএফ-এর এক মহিলা জওয়ান। ১ টি গরু এবং ৮টি মোষ আটক করা হয়। কিন্তু চোরাকারবারীরা পাল্টা আঘাত হানে বলে অভিযোগ। ওই মহিলা বিএসএফ-জওয়ানের (BSF Women Constable) উপর হামলা করে গরু-মোষ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় আত্মরক্ষার খাতিয়ে ওই মহিলা জওয়ান গুলি চালান। শেষপর্যন্ত চোরাকারবারীদের বাংলাদেশের দিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।


সূত্রের খবর, ৭ অগাস্ট ওই ঘটনা ঘটেছে। বিএসএফ চোরাচালানের খবর পেয়েছিল। তার ভিত্তিতেই সীমান্তে কেদিয়াপাড়া বর্ডার পোস্টে থাকা সব জওয়ানকে সতর্ক করা হয়েছিল। সেই সময়েই কর্মরত ছিলেন ওই মহিলা জওয়ান। সেই সময় তিনি দেখেন ৬-৭ জন চোরাকারবারী দ্রুত ছুটে আসছে সীমান্তের দিকে। তাদের হাতে ছিল ধারাল অস্ত্র ও সঙ্গে ছিল বেশ কিছু গবাদি পশু। সঙ্গে সঙ্গে বাকি বিএসএফ-জওয়ানদের সতর্ক করেন ওই মহিলা জওয়ান। তার সঙ্গেই ওই চোরাকারবারীদের দিকে ছুটে যান তিনি, থামতে বলেন। কিন্তু তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিতে থাকেন চোরাকারবারীরা, অভিযোগ এমনটাই। প্রাণের আশঙ্কা করে পাল্টা গুলি চালান ওই বিএসএফ জওয়ান। শেষ পর্যন্ত অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। 


এরকম হামলা নাকি নতুন নয়। চোরাকারবারে বাধা দিলে বিএসএফ জওয়ানদের উপরে হামলার ঘটনা বারবার ঘটেছে। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সুন্দর ও রানাঘাট আউটপোস্টে, গোপালনগরের বর্ডার আউটপোস্টে এমন ঘটনা ঘটেছিল। একাধিকবার চোরাকারবারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। 


সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার এ কে আর্য জানিয়েছেন বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। সীমান্তে রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: 'সকালে চা-বিস্কুট খেয়েছিলেন, এরপর ওষুধ খাওয়ার সময়ই...' শেষ মুহূর্তেও 'লড়াই ছাড়েননি'