মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর : বিডিওকে মারধরের (Beating BDO) অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জামিনের পর, সেই বিজেপি (BJP) নেতাকে মালা পরিয়ে, সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানাল দল! বালুরঘাটের (Balurghat) ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। 


বিজেপি নেতার মার বিডিওকে


বিডিওকে লক্ষ্য় করে চেয়ার ছুড়ে মার, একবার নয়, একাধিকবার। গত ১২ ডিসেম্বর, বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদারের ওপর এভাবেই হামলা চালান বালুরঘাটের পতিরামের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুভাষ সরকার। বিডিওর দফতরই সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ্যে আনে। ঘটনায়, পরদিনই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এর ৫৩ দিনের মাথায়, শুক্রবার জামিনে ছাড়া পেলেন বিজেপি নেতা। 


জামিনের পর দলের সংবর্ধনা


শুধু জেল থেকে বেরোলেনই না তাঁকে মালা পরিয়ে, রীতিমতো সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানিয়ে বাইক ‍‍র‍্যালি করে নিয়ে গেলেন দলের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির বালুরঘাট মণ্ডল সভাপতি বলেছেন, 'আমি অন্য়ায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আমায় জেলে যেতে হয়। পার্টি সব দায়িত্ব নেয়।' 


বিজেপির অভিযোগ, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা সত্ত্বেও, বিডিওর অসহযোগিতার কারণেই, বালুরঘাটের ৬ নম্বর ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে, ভোটাভুটি হয়নি। সেই রোষেই বিডিওর ওপর হামলা চালান বিজেপি নেতা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেছেন, 'বিডিও সাহেব মৃত পঞ্চায়েত সদস্য়কে জীবিত দেখিয়ে পঞ্চায়েতের অনাস্থাকে ভেস্তে দেয়। তার প্রেক্ষিতে বিডিওকে সুভাদা জিজ্ঞেস করতে যায়। উত্য়ক্ত করে। বিডিও অন্য়ায় কাজ করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেয়নি।'


কটাক্ষ, রাজনৈতিক তরজা


বিডিওকে মারধরে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার এহেন সম্বর্ধনা নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বালুরঘাটের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি কৌশিক চৌধুরী বলেছেন, 'আমরা লজ্জিত এই দুষ্কৃতীকে সম্বর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করল। প্রমাণ করল বিজেপি দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেয়।' সবমিলিয়ে বিজেপি নেতার জামিনে মুক্তি ও সম্বর্ধনা নিয়ে তুঙ্গে তরজা। এখন দেখার ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয়।


আরও পড়ুন- সৌমিত্র-র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই তাঁর দাম্পত্যে ফাটল, বিচ্ছেদ মামলায় আদালতে দাবি সুজাতার


গত মাসে কলেজ ফেস্টে বিশৃঙ্খলায় পুলিশের লাঠিচার্জের পর (Police Lathi Charge) অনুষ্ঠান শেষে সেই মঞ্চেই আইসি-কে টিএমসিপির সম্বর্ধনা (Fecilitation) ঘিরে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের ঘটনায় রাজনৈতিক বাগযুদ্ধের পারদ চড়ে। যে ঘটনা ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির পারদ চড়লেও কোনও মন্তব্য করেননি সংবর্ধিত পুলিশ অফিসার।