কলকাতা: অমিত শাহ ১ মাসে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেও, এখনও পর্যন্ত ২৫ শতাংশও পূরণ করতে পারলেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা। ফলে সংগঠন পোক্ত করার কাজ নিয়ে দলের অন্দরেই উঠেছে প্রশ্নচিহ্ন। সূত্রের খবর, এনিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অসন্তোষের মুখেও পড়তে হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। যা নিয়ে আবার পদ্মশিবিরকে কটাক্ষ-বাণে বিঁধেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।


লোকসভা ভোটে এরাজ্য়ে বিজেপির আসন কমেছে। ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পদ্ম শিবিরের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। এবার সদস্য় সংগ্রহ অভিযানেও কার্যত ডাহা ফেল বঙ্গ বিজেপি। এক মাসে এক কোটি সদস্য় সংগ্রহের লক্ষ্য়মাত্রা ছোঁয়া দূরের কথা, তার এক চতুর্থাংশ অবধিও পৌঁছোতে পারেনি তারা। ২৭ অক্টোবর, সল্টলেকের ইজেডসিসি থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখান থেকে ১ মাসে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি।

সূত্রের খবর, ১১ ডিসেম্বর, পর্যন্ত এরাজ্যে বিজেপির নতুন সদস্য সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২২ লক্ষ ৮৯ হাজার। অর্থাৎ লক্ষ্যের ২৫ শতাংশও পূরণ করা যায়নি গত একমাসে। সূত্রের দাবি, ভোটের পর সদস্য় সংগ্রহেও, এই পারফরম্য়ান্স দেখে, বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্বের ওপর বেজায় চটেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গত শনিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের দীর্ঘ বৈঠক হয়।সূত্রের খবর, বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিংহর গলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান হতাশা ঝরে পড়ে। বিজেপি সূত্রে দাবি, বৈঠকে তিনি বলেন, সদস্য সংগ্রহ অভিযানের এমন করুণ দশা যে, আগামীদিনে বহু সাংগঠিক জেলায় মণ্ডল কমিটি গঠন করাই সম্ভব হবে না কার্যত একই কথা শোনা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের গলাতেও। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এমন বহু বিধায়ক রয়েছেন যারা নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ওয়াকিবহাল নন। আগামীদিনে এই বিধায়করা যাতে আর টিকিট না পান না সেই ব্যাপারটি নজরে রাখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় তাঁকে।


বিজেপি সূত্রে খবর, সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সবচেয়ে পিছিয়ে পাহাড়। এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ হয়েছে ১০ হাজারের কাছাকাছি। দ্বিতীয় স্থানে ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা। সেখানে ১৮ হাজারের কাছাকাছি সদস্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কলকাতাকে পাখির চোখ করে সংগঠন মজবুত করার বার্তা দেওয়া হলেও উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলায় ৩০ হাজার ও দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলায় এখনও পর্যন্ত ৩৪ হাজার সদস্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। জানা গেছে, মোট ১২টি সাংগঠনিক জেলা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Chikungunya News: শীতের শুরুতে নতুন আতঙ্ক, শহরে বাড়ছে চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা