মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থার বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়ানোর কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ। সম্প্রতি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জমি দখল করে বেআইনিভাবে বসবাস করার অভিযোগে বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছে সেল। সেই ঘটনায় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া (Surinder Singh Ahluwalia )। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় সরকারের ইস্পাত মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থাকেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ (BJP MP)। সম্প্রতি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জমি দখল করে বেআইনিভাবে বসবাস করার অভিযোগে বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছে সেল। উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভে নেমে পড়েছে দুর্গাপুর পুরসভার ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। এই প্রেক্ষাপটে এলাকার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি সাংসদ। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা হলে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলেন সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া।
বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেছেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি সম্প্রসারণ করতে যেমন জমির প্রয়োজন তেমনি ওই জমির উপর বসবাসকারী মানুষদের উচ্ছেদ করতে গেলে তেমনি পুনর্বাসনের প্রয়োজন। তবে পুনর্বাসন যতক্ষণ না দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জমি কেউ ছাড়বেন না। সেই বুলডোজারের সামনে আমি দাঁড়াব। আমাকে ধ্বংস করে তারপর বাড়ি ধ্বংস করবে'। যদিও তাঁর এই অবস্থান ঘিরে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, 'বিজেপি চোর কে বলছে চুরি করতে গৃহস্থ কে বলছে সজাগ থাকতে। বাংলায় পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না'। আর এই ইস্যুতে তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষই নিশানা করেছে সিপিএম। পশ্চিম বর্ধমানের সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেছেন, 'তৃণমূল বিজেপি মিলে মানুষকে ধাপ্পা দিচ্ছে।'
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনে নোটিস দেওয়া হয়েছে। দিন দিন জবরদখলের সংখ্যা বাড়ছে। কারখানার আধুনীকিকরণের জন্য ওই জমি প্রয়োজন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন