কলকাতা: কৃষি ভিত্তি এবং শিল্প ভবিষ্যৎ বলে একাধিক বার স্লোগান উঠেছে রাজনীতির ময়দানে। সেই ধারা বজায় রেখে কৃষিক্ষেত্রে একাধিক ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আলুচাষিদের শস্য বিমার প্রিমিয়াম রাজ্য সরকারই বহন করবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, কৃষির উন্নতির জন্য ফার্ম মেশিনারি হাব এবং কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গঠনের কথাও জানিয়েছে রাজ্য। (West Bengal Budget)
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্যের বাজেট পেশ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, কৃষি অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বুনিয়াদের মূল স্তম্ভ। কৃষিজ উৎপাদন এবং বিপণনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার। খাদ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, অন্য শস্যের মতো আলুচাষিদের শস্যবিমার প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ভাবে বহন করবে। এর ফলে ২০ লক্ষ আলুচাষি উপকৃত হবেন। এই খাতে অতিরিক্ত ১০০ কোটি বরাদ্দ করেছে রাজ্য। (Mamata Banerjee)
কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উৎসাহদানের জন্য আগামী দুই বছরে পঞ্চায়েত স্তরে ২০০০ ফার্ম মেশিনারি হাব, কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গড়ে তোলা হবে। ৩০ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন এবং গ্রামীণ অঞ্চলে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এতে। এই খাতে রাজ্য ৪৫০ কোটি বরাদ্দ করেছে।
আরও পড়ুন: West Bengal Budget: ৪ থার্মাল পাওয়ার ইউনিট রাজ্যে, জমি সংক্রান্ত আইন পুনর্বিবেচনা, ঘোষণা বাজেটে
কৃষকদের দ্রুত বীজ এবং ঋণ পেতে সাহায্য করতে, কৃষিজ পণ্যের দ্রুত এবং অবাধ বিপণনের জন্য আগামী তিন বছরে ১২০০ Farmers Producer Organisation (FPO) গঠন করবে রাজ্য সরকার। সমতলে প্রতিটি FPO-তে ৩০০ সদস্য এবং পার্বত্য এলাকায় প্রতিটি FPO-তে ১০০ জন সদস্য থাকবেন। এই খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বাজেট পেশ করতে গিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একটি কবিতাও পড়ে শোনান চন্দ্রিমা, যা হল-
“ভেঙে ফেলো বাঁধন ও বাধা বিঘ্ন
ব্যর্থ হতাশাকে কর গো ছিন্ন।
এগিয়ে চলো সব বিশ্ব পানে
জয় করে নাও সব সত্য সাধনে।
উদ্ভাসিত হোক তব প্রাণের জ্যোতি
ভুলে যাও গ্লানি, আনো কাজের গতি।
নতুন আবাহনে, নতুন চিন্তনে
আরাধনা হোক তব গীতবিতানে।
অগ্নিবীণার সব দহন দানে
পবিত্র হোক তব আনন্দ নিকেতনে।
উদ্বেলিত হোক তব নবজাগরণ
ধরণীর ধূলিতে ওড়াও বিজয় কেতন।
তোমরাই পারবে, তোমরা ছাত্র যৌবন
নবান্নতে আসুক ধন-ধান্য প্লাবন।।”