কলকাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বারংবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন আলুচাষিরা। ফলে ফসল বীমা থাকলে সেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারেন তাঁরা। কিন্তু অনেকসময়ই দেখা যায় কৃষকরা সেই বিমা করিয়ে উঠতে পারেন না। উল্টে ঋণ নিয়ে আলু চাষের ক্ষেত্রে প্রবল ক্ষতির মুখে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে। তবে এবার রাজ্য বাজেটে বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
এদিন রাজ্য বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'আলুচাষিদের সহায়তার জন্য বিমার প্রিমিয়াম সরকার সম্পূর্ণভাবে বহন করবে। অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।' আগে আলুর বিমা করাতে গেলে একর প্রতি ৪.৮৫ শতাংশ হারে প্রিমিয়াম জমা দিতে হতে চাষিকে। এর আগে তা কমিয়ে করা হয়েছিল মাত্র ৩ শতাংশ। তবে এবার বিমার প্রিমিয়াম সরকার সম্পূর্ণভাবে বহনের ঘোষণার ফলে উপকৃত হবেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ চাষি, এমনটাই মত।
বিমার পুরনো নিয়ম
কৃষিদফতর মারফৎ জানা যায়, আগে ধান বা অন্যান্য ফসলের বিমা করার ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম জমা দিতে না হলেও আলুর ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম জমা দিতে হয় কৃষককে। এর আগে এক একর আলু জমিতে বিমা করাতে গেলে ৪.৮৫ শতাংশ হারে মোট ৩ হাজার ৮৮০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হত। পরবর্তীতে তা কমে। এক একর জমিতে মাত্র ৩ শতাংশ হারে ২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হত। অর্থাৎ, শতক প্রতি মাত্র ২৪ টাকা প্রিমিয়াম জমা দিতেন চাষিরা।
কখন এই বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে?
- ফসল লাগানোর পরেই বা লাগাতে না পারার জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়
- ফসল লাগানোর পর রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, খরা বা পোকা লেগে ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়
- ফসল তোলার পর আশানুরূপ ফলন না হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়
যদিও আলুর ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল কৃষকদের তরফে। অভিযোগ ছিল, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করেছে বিমা সংস্থা। তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানান হয়েছে, আরও বেশি করে মনিটরিং করা হবে।
আরও পড়ুন, ভোটের আগে বড় ঘোষণা! 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে 'দ্বিগুণ' বাড়ল ভাতা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে