কলকাতা :  আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট। এর জন্য রাজ্যে আসছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই ১৫ কোম্পানির মধ্যে সিআরপিএফের ৭ কোম্পানি, বিএসএফের ৪ কোম্পানি, এসএসবি-র ২ কোম্পানি এবং সিআইএসএফ ও আইটিবিপি-র ১ কোম্পানি করে বাহিনী আসছে রাজ্যে।  



নামে উপনির্বাচন। কিন্তু, উত্তাপ বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এটুকু কম নয়। কারণ কেন্দ্রের নাম - ভবানীপুর। আর তৃণমূল প্রার্থীর নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ময়দানে নামিয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। আর সিপিএমের বাজি, তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন। সোমবার একটি কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে, ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে গাড়ি থেকে নেমে, ছোট্ট করে জনসংযোগও সেরে নেন তিনি। 


হোমগ্রাউন্ডে তৃণমূল নেত্রীর জয়ের ব্যাপারে পুরোদস্তুর আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। সোমবার মনোনয়ন পেশ করেন ভবানীপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। দলীয় প্রার্থীর জয়ের দাবি করতে গিয়ে, বিজেপি টানছে, বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক পরিসংখ্যানকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, এই আটটা ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টাতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি।

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল আজ সকালে গোপালনগর মোড় থেকে শুরু করলেন প্রচার।  বৃষ্টির ভ্রুকুটির মধ্যেই তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কলকাতা পুরসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন। গতকালই ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন পেশ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার সারেন তিনি। প্রায় দুয়ারে গিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন, আমি এই মাটির কন্যা। শুধু মা, মাটি, মানুষের কথা মুখে বললে হয় না। মানুষের পাশে থাকতে হবে। প্রিয়ঙ্কার কটাক্ষ, যে সরকার মায়ের কোল খালি করে দেয়, তারা মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়াবে !