মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট (দক্ষিণ দিনাজপুর) : কলকাতা (kolkata), হুগলি (hooghly), হাওড়া (Howrah) ও দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur)- ৪ জেলার যোগসূত্র। বড়সড় শিশু পাচারচক্রের পর্দাফাঁস (Child Trafficking racket busted) করার পর সেই সব সূত্র ধরেই এগোতে চাইছে পুলিশ (Police)। কলকাতার পাচারকারীদের সঙ্গে বালুরঘাটের (Balurghat) কী যোগসূত্রে, সেটাই ভাবাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশকে।
ঠিক কী হয়েছে
৪ লক্ষ টাকায় ১ মাসের শিশুকে বিক্রির অভিযোগ। ১০ এপ্রিল শিশু পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে বালুরঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল হুগলি, হাওড়া ও কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জন। গোটা ঘটনা সামনে আসার পর আলোড়ন পড়ে গেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। তাত্পর্যপূর্ণ হল, ধৃতরা কেউই দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা নয়। ধৃতদের মধ্যে ৫ জন কলকাতার বাসিন্দা, একজন হুগলির, ২ জন হাওড়ার।
পুলিশি অভিযান
শিশু বিক্রির চেষ্টা চলছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের পতিরাম থানার রোলার মোড় এলাকায় গত ১০ এপ্রিল অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় শোভন সর্দার ও পিঙ্কি মান্নাকে। ধৃতদের জেরা করেই বাকিদের হদিশ মেলে। ১৩ এপ্রিল হুগলির হিন্দমোটর থেকে চক্রের পাণ্ডা সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় অনিতা ঝুনঝুনওয়ালাকে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয় বাকি ৫ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিশু কেনায় অভিযুক্ত, হাওড়ার বাসিন্দা দম্পতিও। সেই দম্পতির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ মাসের শিশু।
বালুরঘাট যোগ ঘিরে চিন্তা
প্রশ্ন হল, অভিযুক্তরা সবাই কলকাতা, হুগলি, হাওড়ার বাসিন্দা হলে তাঁদের মধ্যে ২ জন কেন বালুরঘাটে গিয়েছিলেন? বালুরঘাটের সঙ্গে এই শিশু পাচারচক্রের কী যোগসূত্র, সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের মধ্যে একজন উদ্ধার হওয়া শিশুর মা। তাঁর কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। শিশুকে রাখা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হেফাজতে।
আরও পড়ুন- জঙ্গলমহলে বড়সড় মাওবাদী হামলার আশঙ্কা! ১৫ দিন হাই অ্যালার্ট জারি