কলকাতা: মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা (Odisha Train Accident) ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা চড়তে শুরু করেছে আগেই। তার উপর সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) দাবি করলেন, 'আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের (Anti Collision Device) প্রস্তাব দিই।' এতে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কৃতিত্ব নেই, মনে করেন তিনি। সঙ্গে আরও সংযোজন, 'অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস হওয়ার পর দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে।'  রেলের সুরক্ষার জন্য কিছুই করেনি কেন্দ্রের বর্তমান সরকার, অভিযোগ আরও। 


আর কী?
ইতিমধ্যেই অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। গত কাল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর পাশে দাঁড়িয়ে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, "আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র (Anti Collison Device) তৈরি করেছিলাম। গোয়ায় গিয়ে সব ব্যবস্থা হয়েছিল। তার পর থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছিল। এটি এমন একটি যন্ত্র, যা ট্রেনে বসানো থাকলে, এক লাইনে যদি দু'টি ট্রেন এসে পড়ে, বা সামনে কিছু পড়ে থাকে, আপনা থেকেই থেমে যাবে ট্রেন। কিছু গড়বড় দেখলে সতর্কবার্তা যাবে।" এদিন বালেশ্বর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ' 'তদন্তের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে জানলেন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না?' তার আগেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বলে দেন, 'এই দুর্ঘটনার সঙ্গে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের কোনও সম্পর্ক নেই।' সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফের তোপ, 'রেলের জন্য এখন কিছুই করা হচ্ছে না,রেল বাজেটও নেই। রেলকে যেন বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছে।'


সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়ে...
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, 'আমি কাউকে কোনও আক্রমণ করেনি। যতটুকু বলার, ততটুকুই বলেছি। সিগন্যালিং সিস্টেম কেউ দেখেই না, ভগবানের দয়ায় চলছে।' অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস নিয়ে নিজের পুরনো অবস্থান ফের তুলে ধরেন মমতা। সঙ্গে বলেন, 'আপনারা এখন আমাকে, নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদকে আক্রমণ করছেন? আপনাদের সময় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আমরা তো কখনও বলিনি।' এর পরেই সম্পূর্ণ দ্বিধাহীন ভাষায় মমতার দাবি, এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাফিলতি, সমন্বয়ের অভাব। তাঁর কথায়, 'এত মানুষের মৃত্যুর পরও ক্ষমা চাননি। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রেনের ভাড়া বাড়াইনি। কিন্তু এখন তো প্রায় নিয়ম করে ভাড়া বাড়ান। আপনি নিজেদের শখ-আহ্লাদ পূরণের জন্য যে টাকা খরচ করেছেন, তা রেলকে দিতে পারতেন।'


আরও পড়ুন:এই ৫টি জিনিস স্বপ্নে দেখলেই বিপদ সংকেত! জীবনে আসতে পারে দুর্ভোগ