কলকাতা: দেখে নিন রবিবারের দুপুরের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি- 


বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি


বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি। জেলায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৪১ জন।১০৬ জন জখম হয়েছেন। ৩০ জন নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছেন। মৃত ও আহতরা অধিকাংশই সুন্দরবনের বাসিন্দা। দর্জি বা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতেন। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের তরফে আলিপুরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এছাড়া, মহকুমা ও ব্লকস্তরেও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বালেশ্বরে পৌঁছেছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের সুবিধার জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, বাস বা ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। 


পূর্ব বর্ধমান থেকে নিখোঁজ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ৬ জন যাত্রী


পূর্ব বর্ধমান থেকে নিখোঁজ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ৬ জন যাত্রী। এদের কেউ কাটোয়া বা মন্তেশ্বর। কেউ মঙ্গলকোট বা ভাতারের বাসিন্দা। ট্রেন দুর্ঘটনায় এই জেলার ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ও মৃতরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। বালেশ্বর থেকে আজ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ৫ জনের মৃতদেহ নিয়ে আসার কথা।কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে আরও ২ জনের দেহ।



আজও বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন


বালেশ্বরে ৩টি ট্রেনের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার জের। আজও বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। আপ ও ডাউন দুটি লাইনেই ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। 
বাতিল ট্রেনের তালিকায় রয়েছে,
হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস
শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস
হাওড়া-পুরী জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস
হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস
শালিমার-হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস
সাঁতরাগাছি-তিরুপতি এক্সপ্রেস
শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস
হাওড়া-ভদ্রক এক্সপ্রেস
দিঘা-পুরী এক্সপ্রেস


এছাড়া, বেশ কিছু ট্রেনকে টাটানগর দিয়ে ঘুরিয়ে চালানো হচ্ছে। 


পশ্চিমের জেলায় লু বইবে আগামী এক সপ্তাহ


দক্ষিণবঙ্গে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে বুধবার পর্যন্ত। পশ্চিমের জেলায় লু বইবে আগামী এক সপ্তাহ। চরমে উঠবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কলকাতাতেও গরম ও অস্বস্তি দুটোই বাড়বে। তৈরি হবে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি। পূর্বাভাসে জানাল আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গেও বাড়বে গরম-অস্বস্তি। বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। 


মায়াপুর ইসকন জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হচ্ছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা


মায়াপুর ইসকন জগন্নাথ স্নানযাত্রা উৎসব। মায়াপুর চন্দ্রধন মন্দির থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই ভক্তের ভীড়। দাবদাহ উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে  জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর জন্য হাজার হাজার দেশী-বিদেশি ভক্ত সকাল থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে। কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই জগন্নাথের শরীরে জ্বর আসবে। তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজ বেশে রাজ রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পুজিত হবেন। এদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের তরফ থেকে।