সন্দীপ সরকার, কলকাতা: প্রসূতি মৃত্যুর হার কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই কাজে টিন-এজারদের মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার হার কমাতে উদ্য়োগ নেওয়া হচ্ছে। টিন-এজ প্রেগন্যান্সির হার কমালেই প্রসূতি মৃত্যুর হার কমবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যেই প্রসূতি মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি এক্সপার্ট টিম।
কী পদক্ষেপ:
রাজ্যে বাড়ছে প্রসূতি মৃত্যুর হার, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য ভবনে এই নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টিন-এজ গ্রুপের মধ্যে প্রসূতি মৃত্যুর হার অন্য বয়সের প্রসূতিদের তুলনায় বেশি।
কোথায় কে দাঁড়িয়ে:
টিন-এজ প্রেগন্যান্সি বা অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার সংখ্যা যদি বিচার করা হয়। তাহলে তথ্যের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। তার পরেই রয়েছে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় টিন-এজ প্রেগন্যান্সির হার ১৯ শতাংশ। ২০২০ সালে এই হার ছিল ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ আগের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে।
স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য:
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, 'টিন-এজার দম্পতি চিহ্নিত করে, তাঁদের পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গত দু’বছরে এই প্রচেষ্টায় যথেষ্ট সুফল মিলছে। আগামী দিনে এই ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নিয়ে, এই টিন-এজ প্রেগন্যান্সির হার ১০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।'
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ লকডাউনের সময় বেড়েছে স্কুলছুট হওয়ার সংখ্যা। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কম বয়সে বিয়ে হওয়ার সংখ্যাও। আর এই কারণেই বাড়ছে টিন-এজ প্রেগন্যান্সি বা অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সংখ্যাও। প্রসূতি মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি এক্সপার্ট টিম তৈরি করা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি, জেলাতেও নজর দেওয়া হচ্ছে। জেলার জন্য়ও মেন্টর গ্রুপ তৈরি করা হবে। যেখানে, প্রসূতি মৃত্যুর হার বেশি, সেখানে গিয়ে অনুসন্ধান করে দেখবে এই এক্সপার্ট টিম।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি নিয়ে রাজ্য সরকারের পথেই এবার আইসিএসই, শুরু হচ্ছে অনলাইনে ক্লাস