পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঝিলম করঞ্জাই, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : রাজ্য ( West Bengal ) জুড়ে বোমা-বারুদ-গুলির আস্ফালন। মুড়ি-মুড়কির মতো উদ্ধার হচ্ছে বোমা, বোমা তৈরির মশলা, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এরমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ( South 24 Pargana ) যেন বোমা-বারুদের আঁতুরঘর। বুধবার কুলতলিতে ( Kultali ) উদ্ধার হয়ছে, বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র।ওইদিন ভোরেই নরেন্দ্রপুরে ( Narendrapur) রাস্তার ওপর পড়ে তাজা বোমা। তার আগে কুলপিতে বিপুল বোমার সন্ধান। এবার, ভাঙড়ে খোঁজ মিলল গোটা একটা বোমা তৈরির কারখানার! পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হওয়া মশলা থেকে অন্তত ৫০০টি অত্যাধুনিক বোমা তৈরি করা যেত।
বুধবার, ফেসবুকে ( Facebook ) একটি স্টেটাস আপলোড করেন, ভাঙড়ের বাসিন্দা, শামসুদ্দিন রহমান নামে এক যুবক, FB স্টেটাস সঙ্গে একটি আস্ত বোমার ছবি। যুবকের সন্ধানে খোঁজ করতে করতে নাটাপুকুরের এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে এসে পৌঁছয় সাদা পোশাকের বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই তো পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির ভিতরে কোনও আসবাবপত্র নেই। প্রত্যেকটা ঘরেই বারুদ। ঘরের আনাচে কানাচে বোমার মশলা, বোমার খোল। বাড়ি থেকে উদ্ধার, পাইপগান, ১১ কেজি বারুদ।
আরও পড়ুন :
আস্ত বোমা তৈরির কারখানা এ বঙ্গে, উদ্ধার হওয়া মশলা থেকে অন্তত ৫০০টি অত্যাধুনিক বোমা তৈরি করা যেত
কিন্তু বিপুল সংখ্যক বোমার বরাত দিত কারা? বোমা কারখানার মালিক, ধৃত, নবিরুল মোল্লার দাবি, তিনি ISF কর্মী। তাঁর স্ত্রী অবিপি আনন্দ-র প্রশ্নের জবাবে বলে ফেললেন. বোমা বাইরের লোকজন এসে আমার স্বামীকে দিয়ে করাত। চাপ দিয়ে। কারা দিত চাপ ? সাবিনা বিবির জবাব, ' ভাইজানের লোকেরা। আমরা ভাইজান করতাম। এবারে... এখন এই ওঠাপড়ার দিন এসে গেছে, উনি একটু চেপে গিয়েছিল। '
যদিও নৌশাদ সিদ্দিকি বলছেন, ওরা কি বাচ্চা ছেলে?
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণেই বোমা, অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে কাশীপুর থানার পুলিশ।