কলকাতা : ৫০ শতাংশ যাত্রী বিধি শিকেয়। ট্রেনে বসার আসন ভর্তি, অনেকের মুখে নেই মাস্ক। স্টেশনে শিকেয় দূরত্ববিধি। বনগাঁ থেকে বারুইপুর, পুরুলিয়া থেকে বর্ধমান, ধরা পড়ল বিধিপালনে ঢিলেঢালা ছবি।  অফিসটাইমে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলার বিধি শিকেয় উঠেছে মেট্রো রেলেও। ভর্তি সব আসনই , দাঁড়িয়ে যাতায়াত করছেন অনেকেই। স্টেশনে স্টেশনে বিনা নজরদারিতে বেড়েই চলেছে ভিড়। 

সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে অফিস টাইমে মেট্রোয় ভালরকমই ভিড় দেখা গেল। মানা হচ্ছে না দূরত্ব বিধিও । মানা হচ্ছে না ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলার বিধিনিষেধও। অফিস যাওয়ার তাড়া আছে বহু যাত্রীরই। তাই একপ্রকার বিধি ভুলেই ভিড় করছেন মোট্রো রেলে। সিট ভর্তি তো বটেই। উপরন্তু দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীর সংখ্যাও কিছু কম নয় ! 



ঢাকুরিয়া স্টেশন 

অফিসটাইমের ঢাকুরিয়া স্টেশন। কোথায় দূরত্ব বিধি? তুমুল ভিড় ট্রেনে। নজর রাখা বা ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নজরে পড়েনি। ঢাকুরিয়া স্টেশনে রোজকার মতোই ভিড়। করোনা বিধি ভুলেছে মানুষ । 




নিউ ব্যারাকপুর স্টেশন 

নিউ ব্যারাকপুর স্টেশনেও । বনগাঁ শাখার এই স্টেশনে প্রতিটি লোকালেই থিকথিকে ভিড়। কামরায় উধাও দূরত্ব বিধি। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলার বিধিনিষেধ যে মানা হচ্ছে না, তা স্পষ্ট। 



বারুইপুর 

সকাল থেকে বারুইপুর স্টেশনে ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড়। স্টেশনে করোনা বিধি নিয়ে জিআরপি-র প্রচার সত্ত্বেও মানুষের ভ্রুক্ষেপ নেই। প্ল্যাটফর্মে মাস্ক বিলি করতে দেখা গেল রেল পুলিশকে।



খড়গপুর

খড়গপুর স্টেশনে মাস্ক ছাড়াই ডিউটিতে রেল পুলিশ !! পাশাপাশি, লোকাল ট্রেনেও বিধিভঙ্গের ছবি। কামরায় ভিড়। উধাও দূরত্ব বিধি। এরই মধ্যে মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠেছেন কোনও কোনও যাত্রী। দেখা মেলেনি আরপিএফ, জিআরপি-র। 




রানাঘাট শাখা 
শিয়ালদা, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, গেদে শাখায় লোকাল ট্রেনে তীব্র ভিড়। করোনাবিধি লাগুর ছাপ ধরা পড়ছে এই রুটের ট্রেনে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর নিয়ম মানা সম্ভব নয়, দাবি নিত্য যাত্রীদের। তাঁদের দাবি, প্রত্যেককেই তো গন্তব্যে ঠিক সময়ে পৌঁছতে হবে ।