সমীরণ পাল, বারাসাত: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ এখনও উর্ধ্বমুখী। চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলাগুলি। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণাতে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি এখনও পর্যন্ত। প্রায় প্রতিদিনই বারাসাত শহরে প্রায় ১০ জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও।
এর পাশাপাশি রয়েছে করোনা তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। সেই কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই জেলা সদরে ১৩টিরও বেশি কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শনিবার থেকে বারাসাত শহরের চটিবাজার খোলা রাখার সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের জন্য এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে বলেই জানান হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে।
এই নিয়ম জারির এক সপ্তাহ পরে গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বারাসাতের মহকুমা শাসক সোমা সাউ। বারাসাত শহরের কাছারি বাজার, খোলা কাজীপাড়া বাজা্ স্টেশন রোড বাজার, হরিতলা বাজার, বিধান মার্কেট বাজার-সহ চটিবাজার সকাল সাতটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে এই নির্দেশের।
প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, বাজারে ভিড় না করার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে বারংবার প্রচার করা হয়েছে। তবুও মানুষ বাজারগুলিতে ভিড় করা কমাচ্ছেন না। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বাজার করতে আসা লোকদের মুখে মাস্ক নেই, ব্যবহার করা হচ্ছে না স্যানিটাইজার। তৃতীয় ঢেউয়ের আগে তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না স্থানীয় প্রশাসন। বাজারগুলিতে ভিড় কমাতে এই সিদ্ধান্ত ”
পাশাপাশি মহকুমাশাসক জানিয়েছেন মধ্যমগ্রাম এলাকাতেও সংক্রমণ বাড়ছে। তার ফলে সংক্রমণে রাশ টানার জন্য মধ্যমগ্রাম পুর এলাকাতেও বাজারের সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী ১লা আগস্ট থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে। ইতিমধ্যেই বারাসত থানার পক্ষ থেকে এর প্রচারও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও খবর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। গতকালের হিসেব অনুযায়ী একদিনে আক্রান্ত ১০৬ জন। দৈনিক মৃত্যুতেও শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।