সন্দীপ সরকার, ঝিলম করঞ্জাই, সঞ্চয়ন মিত্র :
চিকিত্‍সকরা সতর্ক করে বলছেন, আগের মতো মারাত্মক না হলেও, করোনা ( Coronavirus)  সংক্রমণকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না! পাশাপাশি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে কড়া নিয়ম ফিরিয়ে আনল কলকাতা লেক মার্কেট। 

 ‘ নো মাস্ক, নো এন্ট্রি ’
তৃতীয় ঢেউয়ের ( Third Wave ) ধাক্কা কমে আসার পর থেকেই অর্ধেকের উপর মানুষ মাস্ক ছেড়েছেন। রাস্তাঘাটে মাস্ক পরা অবস্থায় লোকজনকে চোখেই পড়ছে না। তাই কড়া বাজার কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল থেকেই লেক মার্কেটের সামনে ‘ নো মাস্ক, নো এন্ট্রি ’ পোস্টার ( No Mask No Entry Sign) । কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, লেখা তো আছে, ক’জন শোনে...! যদিও বিক্রেতারা বলছেন, শুরু থেকেই সচেতন হওয়া ভাল। 


এবছরের শুরুতে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় কাহিল হয়েছিল রাজ্য। সংক্রমণে রাশ টানতে বাজারগুলিতে নিয়মের কড়াকড়ি শুরু হয়। কোথাও কোথাও বাজার বন্ধও রাখা হয়। তাই এবার আগেভাগেই সতর্ক লেক মার্কেট।  বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ইতিমধ্যেই দেশে চলে এসেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। তবে, আশার কথা, আগের মতো আর ততটা প্রাণঘাতী হবে না এই ভাইরাস।


 মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে
অন্যদিকে, কলকাতা সোমবার  মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন ডাক্তারি পড়ুয়া। এই অবস্থায়  থেকে শুরু হচ্ছে MBBS-র তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা। এখানে একের পর এক ডাক্তারি পড়ুয়া সংক্রমিত হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৪ জন ডাক্তারি পড়ুয়া সংক্রমিত হয়েছেন। শুক্রবার ৪ জন ও শনিবার ১০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মেডিক্যাল কলেজের একটি ছেলেদের ও একটি মেয়েদের হস্টেলে ছড়িয়েছে করোনার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমিতদের হস্টেলের ঘরেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।